পহেলগাঁও হামলাকারীরা কাশ্মীরেই অবস্থান করছে, দাবি ভারতের


ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল সংঘটিত এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে চার অভিযুক্ত জঙ্গি এখনো পলাতক এবং সম্ভবত তারা দক্ষিণ কাশ্মীরের ঘন জঙ্গলে আত্মগোপনে রয়েছে।
এমনটাই দাবি করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
সংস্থাটির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য ও সরঞ্জাম রয়েছে। যার ফলে তারা বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়াই দীর্ঘ সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারছে।
এনআইএ সূত্রটির দাবি, এরা ‘স্বনির্ভর’ ধরনের জঙ্গি। যারা রসদ বহন করে নিয়ে আসে এবং বহিঃসহযোগিতার প্রয়োজন না হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সংস্থাটির দাবি, এটি সেই সন্দেহকে আরও জোরালো করে যে, পাকিস্তান থেকে সরবরাহ আসছে না বলেই তারা এতদিন ধরা পড়েনি।
আর এ নিয়ে দিল্লি ইতোমধ্যেই এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ তুলেছে।
সর্বশেষ এই হামলার ঘটনাটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যার তদন্ত এখন এনআইএ’র হাতে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা:
বিশ্বজুড়ে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন—শুধু হামলাকারীদের নয়, পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধেও। তিনি পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন।
ভারতের প্রাথমিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানি নাগরিকদের বহিষ্কার, সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত এবং বিমান চলাচল বন্ধের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপে ভারতীয়দের বহিষ্কার করে এবং শিমলা চুক্তি স্থগিত করে।
দুই দেশই এখন একে অপরের বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। সামরিক জবাবদানের সম্ভাবনাও জোরালো হয়ে উঠেছে।
এরই জেরে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান-এর সঙ্গে বৈঠকে সেনাবাহিনীকে প্রতিআক্রমণের ‘অনুমতি’ দিয়েছেন।
সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত:
এদিকে ভারতের দাবি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার সকালে কুপওয়ারা, উরি ও আখনূর সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালায়। যার জবাবে ভারতও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। যা ছিল টানা ৭ দিনের সীমান্ত লঙ্ঘনের অংশ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
