বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংবিধান মানি না। হাসিনাকে এ দেশে আসতে হবে, বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুনর্বাসন নয়, তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত বলেন, ‘চুপ্পু সাহেব, এখনও সময় আছে, বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন।’
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় জড়িতদের বিচার ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার জন্য যদি আড়াই মাস পরে রাজপথে নেমে আসতে হয় তাহলে আপনাদের কাজ কী? ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে আহত ও শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করবেন আপনারা। ছাত্রলীগ বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক কি না তা ১৫ জুলাই হামলার পর নির্ধারণ হয়ে গেছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের পুনর্বাসন এই বাংলায় হবে না।
প্রশাসন ও মিডিয়াকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। ছাত্র-জনতা হাসিনার বিকল্প বেছে নিয়েছে, আপনাদের বিকল্প বাছাই করতেও দ্বিধা করবে না। অনেক মিডিয়া, যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বন্দনা করে তার হাতকে শক্তিশালী করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট মিডিয়া আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। কলাম লিখতে শুরু করেছে। সেই শ্রুতি-বন্দনা এবং কলাম লেখা ৫ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট মিডিয়ারও পুনর্বাসন হবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজিদা আফিয়া অদিতি, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বক্তব্য দেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)