শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বৈশ্বিক গড় আয়ুর চেয়ে বেশি দিন বাঁচছেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৈশ্বিক গড়কে ছাড়িয়ে গেছে। দেশের নারী ও পুরুষ উভয়ের গড় আয়ু এখন বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি (এসডব্লিউওপি) ২০২৫’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর, সেখানে বাংলাদেশে তা ৭৪ বছর। নারীদের বৈশ্বিক গড় আয়ু ৭৬ বছর হলেও বাংলাদেশে তা ৭৭ বছর।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৭ কোটি ৫৭ লাখ। এর অর্ধেকই নারী এবং দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ কর্মক্ষম (১৫-৬৪ বছর বয়সী)। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী (যাদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ) এবং ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। এটি বাংলাদেশকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগানোর একটি বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭ শতাংশ (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ) মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি, যা দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, ‘আসল সংকট জন্মহার নিয়ে নয়, বরং সংকটটি হলো প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়ে মানুষের, বিশেষ করে নারী ও তরুণদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার অভাব।’

তার ভাষ্য, বাংলাদেশে মোট প্রজনন হার (টিএফআর) ২.১ হলেও নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পদ্ধতিগত বাধার কারণে মানুষ তাদের ইচ্ছানুযায়ী সন্তান নিতে পারছে না।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবার উচ্চব্যয় এবং শিশুদের যত্নআত্তির পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবে অনেক পরিবার সন্তান নিতে দেরি করছে বা সন্তান নিচ্ছে না। সামাজিক প্রথা ও বৈষম্যের কারণে মেয়েদের ওপর অল্প বয়সে বিয়ে এবং মা হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি হয়। এছাড়া নারীর অবৈতনিক কাজের বোঝা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও নারীদের প্রজনন সিদ্ধান্তকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রতিবেদনে এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ০.৭ শতাংশ থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫ শতাংশে এবং জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশে উন্নীত করা, মাতৃস্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ধরে রাখা।

এ ছাড়া সমন্বিত যৌনশিক্ষা, সাশ্রয়ী আবাসন, সবেতন মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীর অবৈতনিক কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইউএনএফপিএ মনে করে, এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগানোর প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএর ডেমোগ্রাফিক ডেটা অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের হার ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে শ্রমশক্তি সংকুচিত হওয়া এবং বয়স্কদের যত্ন ও সামাজিক সুরক্ষার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে দেশ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আমাদের কেন একজন গণহত্যাকারীর সত্যায়ন দরকার হলো?’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

একদিনে ২৩ জেলায় ডিসি রদবদল

দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় প্রশাসনের রদবদলের অংশ হিসাবে একদিনে ২৩ জেলায়বিস্তারিত পড়ুন

আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ‘হ্যাঁ’ হলে যা হবে
  • যে কারণে নির্বাচন ও গণভোট একসাথে, থাকবে ৪ প্রশ্ন
  • এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা
  • দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • ৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
  • প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি