সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। বাংলা সনের মাঘ মাসের প্রথম দিনে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম শীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় মোড়ানো এ জেলায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। তাপমাত্রা উঠানামা করার কারণে চরম বিপাকে পড়ছেন জেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এটাই সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, উত্তর দিকে হিমালয়ের অবস্থান থাকায় শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা উঠানামা করে। যার কারণে এ জেলায় কনকনে শীত অনূভুত হয় এবং তাপমাত্রাও নিচের দিকে নেমে আসে।
আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ প্রধানত শুকনো থাকতে পারে। তবে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে পুরো জেলা। কনকনে শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারে না শ্রমিকরা। অনেক সময় দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা, গম ও আলু খেতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবমগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, কয়েক দিন থেকে আমাদের এলাকায় খুব শীত পড়ছে। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না।
একই কথা বলেন জেলার সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় আমরা কৃষিকাজ করতে পারছি না। সকাল সকাল আমাদের কাজ বেশি থাকলেও শীতের কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)