রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় কন‍্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় আরিফা

কখনো সুদিন আসিনি আরিফা’র জীবনে। কন্যা সন্তানে পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চার বছরের কন্যা ও স্বামীর ছবি হতে নিয়ে দারে দারে ঘুরছেন সাতক্ষীরার আরিফা খাতুন (২৩) নামের এক নারী। আরিফা খাতুনের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা লক্ষীদাঁড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ফজলু দফাদার।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের দারস্থ হন আরিফা খাতুন। এসময় আরিফা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালে সদরের গাংনিয়া সুড়িঘাটা গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলাম এর ছেলে সাইফুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কিছুদিন যেতেই তিনি বুঝতে পারেন স্বামী সাইফুদ্দিন শারিরীক ভাবে অক্ষম। স্বামী শারীরিক অক্ষম হওয়ায় তিনি বাবার বাড়ি ভোমরা লক্ষীদাঁড়ীতে ফিরে যায়। কয়েক দিন পর শশুর মোঃ জিয়ারুল ইসলাম আরিফার বাবার বাড়িতে গিয়ে তার ছোট ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সাথে পুনরায় বিয়ে দিবে বলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন আরিফাকে।

সেই থেকে আরিফার সাথে দেবর শরিফুলের পরিবারের সবার সম্মতিতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ-সম্পর্কের জেরে এক বছর পর শরিফুলের ঔরসে আরিফার কোলজুড়ে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। এখন সেই কন্যা সন্তানের বয়স চার বছর।

বড় ভাই সাইফুদ্দিন এর স্ত্রী হলেও শশুর শাশুড়ির চাপে দেবর শরিফুলের সাথে স্বামী স্ত্রী’র মত সংসার করতে থাকেন আরিফা খাতুন। এতো দিন সব কিছুই চলছিল ঠিকঠাক হঠাৎ দেবর শরিফুল অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে দেখা দেয় বিপত্তি। এসময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে দেবর শরিফুলকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়ে আরিফাকে কন্যা সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। এমনি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আরিফা খাতুন।

পরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দেই আরিফা। এসময় এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন আমার শশুরকে চাপ দিলে শশুর আমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা জর্জ আদালতে নিয়ে প্রথম স্বামী সাইফুদ্দিন এর সাথে ছাড়াছাড়ি করান। সেইদিনই আদালত চত্বরে নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়ে ৭০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে তার ছোট ছেলে শরিফুলের সাথে বিয়ে দেন। এই বিয়ের পর মনে করেছিলাম হয়তো আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারবো।

কিন্তু বিয়ের পর আমাকে বাড়িতে একদিন রেখে পরদিন চার বছরের মেয়েসহ আমাকে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয় শশুর জিয়ারুল ইসলাম। সেই থেকে আমি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছি। এনিয়ে সাতক্ষীরা নারী শিশু আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।

অভিযোগ করে আরিফা খাতুন আরো বলেন, বাবার অভাবের সংসারে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে আমার বিয়ে হয়। সে সময় আমার বয়স ছিল ১৪-১৫ বছর, কিছুই বুঝতামনা। এখন গরীব বাবার বাড়িতে অসহায়াতার মাঝে দিন কাটাচ্ছি। এখন স্ত্রী’র মর্যাদা ও কন্যা সন্তানের পিতৃত্বে দাবিতে দারে দারে ঘুরছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় এনসিপি’র কর্মসূচির নিউজ কাভার করতে গিয়ে তীব্র গরমে ১০ সাংবাদিক অসু*স্থ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত জুলাইবিস্তারিত পড়ুন

আসনের লোভ দেখিয়ে জুলাই বিপ্লবীদের কেনার সাধ্য কারো নেই : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সংস্কারবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হ*ত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

মুহাম্মদ হাফিজ: চাঁদা না দেয়ায় ও ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বে রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যারবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় যুবদল থেকে পদত্যাগ করলেন সালাউদ্দিন পারভেজ, থাকছেন বিএনপিতে
  • কলারোয়ায় বিএনপির সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ উদ্বোধন
  • সাতক্ষীরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ক্যালেন্ডারের উদ্বোধন
  • সাতক্ষীরায় কর্তব্যরত অবস্থায় এসআই সাইদুজ্জামানের মৃত্যু
  • সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব বিভাগের দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় ট্রাক ও চিংড়ী রেনুসহ আটক-২
  • জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা
  • সাতক্ষীরায় এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন
  • জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির দাবীতে সাতক্ষীরার লাবসায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ
  • সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নির্বাচন কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ
  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন
  • সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা