সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় গড়ে উঠেছে শতাধিক শুঁটকিপল্লি, মাসে আয় কোটি টাকা

আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক শুঁটকিপল্লি রয়েছে। মিষ্টি পানির দেশি মাছের শুঁটকিপল্লি বলে পরিচিত সাতক্ষীরার বিনেরপোতা। এ শুঁটকিপল্লিতে জেলেদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ পল্লিতে এখন সারি সারি শুকানো হচ্ছে নানা জাতের মাছ।

এখান থেকেই খাবার উপযোগী হয়ে শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে। তবে জেলেরা দাবি করেন সরকারিভাবে শুঁটকি রপ্তানি হলে তারা আরও লাভবান হবেন। সূত্রে জানায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি প্রায় শতাধিক শুঁটকিপল্লিতে ১০ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এখানের প্রতিটি শুঁটকিপল্লি হতে প্রতি সপ্তাহে ১০০ থেকে ১৫০ মণ মাছ রপ্তানি হচ্ছে। নদী থেকে কাঁচা মাছ শুঁটকিপল্লিতে নিয়ে আসার পর নারী-শ্রমিকরা তা পরিষ্কার করেন।

এরপর মাছগুলো পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে বানায় (মাচা) শুকানো হয়। তিন-চার দিনের রোদে মাছগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়। নদী থেকে চিংড়ি, সিলবারকাপ, তেলাপিয়া, লইট্টাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ একসঙ্গে কিনতে হয় এবং দাম ১৫০ শত থেকে ২৫০ শত টাকা। শুকানোর পর দুই-আড়াই কেজি শুঁটকি বিক্রি করে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা লাভ থাকে। এখানকার শুঁটকিতে কোনো ধরনের বিষ-কীটনাশক ছাড়াই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হয়।

এই এলাকার শুঁটকির চাহিদা থাকায় এখান থেকে শুঁটকি চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা, বরিশাল ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয় এখানে। এর মধ্যে রূপচাঁদা, ছুড়ি, কোরাল, সুরমা, লইট্টা অন্যতম। এ ছাড়া চিংড়ি, ছুড়ি, ভোল, মেদসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রয়েছে প্রচুর চাহিদা। বর্তমানে প্রতি কেজি ছুড়ি মাছের শুঁটকি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার, মাইট্টা ৬০০ থেকে ১ হাজার, লইট্টা ৮০০ থেকে ৯০০, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং অন্যান্য ছোট মাছের শুঁটকি ২০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার শুঁটকিপল্লির মাছের গুঁড়ি সারা দেশে পোলট্রি ফার্ম ও ফিশ ফিডের জন্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিনেরপোতা শুঁটকিপল্লিতে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলে ও নারী-পুরুষ কাজ করছেন। সেখানে প্রায় কয়েকটি ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে।

পল্লিতে কেউ মাছ মাচায় রাখছেন, কেউ মাচায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন, কেউবা শুকনো মাছ কুড়িয়ে জমা করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চরের শুঁটকিপল্লিতে শুঁটকি উৎপাদন শুরু করেছে। আশার চর শুটকিপল্লির সুসান্ত বলেন, ‘নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় এ বছর শুঁটকি উৎপাদনও ভালো হচ্ছে। তা ছাড়া এ বছর কাঁচা মাছের চাহিদা বেশি, দাম কম থাকায় শুঁটকিতে লাভ ভালো হবে বলে আশা করছি। তবে সরকারিভাবে দেশে-বিদেশে এই শুঁটকি রপ্তানি হলে খুব লাভবান হওয়া যাবে।’

সাতক্ষীরা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ সাতক্ষীরার এসব এলাকা শুঁটকি মাছের জন্য উপযোগি। এই পেশাকে আরও আধুনিকায়ন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় স্বর্ণের বারসহ আটক ১

সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত এলাকা থেকে দুটি স্বর্ণের বারসহ তজিবুর রহমান নামের একবিস্তারিত পড়ুন

একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক স্কুল সচেতনাতামূলক সভা

একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক স্কুল সচেতনাতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কমিটি ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভাবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার মডেল মসজিদ: উদ্বোধন হয়েছে আড়াই বছর আগে, ‘অসম্পন্ন’ এখনো; ছাগল-কুকুরের বিচরণ!
  • কলারোয়ায় বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • কদমতলা বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে আইয়ুব সভাপতি, রফিকুল সম্পাদক
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন
  • সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর আয়োজনে ও আবু সাঈদ এর অর্থায়নে টিউবওয়েল প্রদান
  • সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি, সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন
  • কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত সভাপতি হাবিবুর – সম্পাদক – মিজানুর
  • সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি, ইমদাদুল সম্পাদক
  • সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন
  • সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা
  • সাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা, প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদান