প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় স্বাক্ষর জাল করে শরিকের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি গেজেটভুক্ত অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে শরিকের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়ার মাদরা গ্রামের মুনছুর সরদারের ছেলে আলাউদ্দিন।
তিনি বলেন, কলারোয়ার মাদরা মৌজায় ৩০৮/৩০৯/৩০১০ ও ৩০৬ দাগসহ অন্যান্য দাগে মোট ২একর সাড়ে ৪৭ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৪টি দাগ হতে আমিসহ মা এবং খালাদের ৫০ শতক সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হলেও জাকির গং বাদী হয়ে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
যার মামলা নং- দেং ৩৫/১৪। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তৎকালিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু (বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান) ২০১৫ সালের ২২ জুন একটি আপোষ বন্টননামা করে দেন। সে সময় দুপক্ষের মারপিটের বিষয় নিয়ে আমাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।
উক্ত আপোষ বন্টন নামায় জাকির ও কলিম বাদে অন্যরা টিপ সহি দেন। আমরা বাদী পক্ষ সে সময় আপোষ বন্টননামা মেনে নিলেও বিবাদী কলিম ও জাকিরগং মামলা পরিচালনা করতে থাকে। এদিকে, উক্ত মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জাকির গংয়ের বিরুদ্ধে রায় দেন।
এরপর তারা আবারো দেওয়ানি আপিল ৮৯/১৮ মামলা দায়ের করে। সেখানেও পূর্বের রায় বহাল থাকে। এর প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ৫ জন স্ব স্ব সম্পত্তি ভোগদখল করতে থাকি। পরবর্তীতে ৩শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে আরো একটি আপোষনামা করা হয়। সেখানে প্রত্যেকের সম্পত্তি প্রাপ্যতা অনুযায়ী বন্টন করে দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান-ম্বেবরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং কলারোয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ।
তিনি আরো বলেন, দুটি আপোষ বন্টননামা অমান্য করে কলারোয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদের স্বাক্ষর জাল করে ভারতীয় ভলিউম বইয়ের ফটোকপি এবং দলিল সত্যয়িত করেন। কিন্তু তারা জানেন না ভারতীয় ভলিউম বই ও দলিল সত্যয়িত করা যায় না।
উক্ত জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট কাগজপত্রসহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ভ‚য়ার কেস নং (যার কে নং-৬১৬/২০০৪ এবং ৫৫০/২০০৪) উল্লেখ পূর্বক লিখিত আবেদন করেন জাকিরগং। উল্লেখিত আবেদনে ফজলু এবং বারিছনের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। কারন ফজলু এবং বারিছন স্বাক্ষর করতে পারে না।
বিগত সময়ে আপোষ বন্টননামায় তারা টিপ সহি দিয়েছিলেন। অভিযোগটি বর্তমানে ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) এর কাছে তদন্তাধীন আছে। বিষয়টি আমরা অবগত হয়ে ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে কাগজপত্রে তুলে জানতে পারি ভলিউম বইয়ের ফটোকপিতে কলারোয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরের বিষয়টি।
তখন হারুন অর রশিদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ওই স্বাক্ষর আমার না। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি ডায়েরি করা বা অন্য কোন পদক্ষেপ নেননি। তিনি স্বাক্ষর অস্বীকার করছেন অথচ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকটা সন্দিহান হয়ে পড়েছি।
আমি জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ন্যায় বিচারের দাবিতে তালা-কলারোয়া আসনের এমপি মহোদয়, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)