স্বর্ণ চোরাচালান দ্বন্দ্বেই কি এমপি আজিম খুন?
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কলকাতার উত্তর সীমান্তে বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে নিউটাউনে যান।
এরপরই রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন আনোয়ারুল। পরে নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় আনোয়ারুলের খুন হওয়ার প্রমাণ। এখনো তার দেহ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, কমপক্ষে এক মাস আগে ঝিনাইদহে এমপি আজিমকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশ অনুমান করছে তাকে খুন করতে সুপার কিলারকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্য দেওয়া হয় পাঁচ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আনোয়ারুল গত ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে খুন করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। দেহে যাতে পচন না ধরে তার জন্য ফ্রিজে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এর ট্রলি ব্যাগে করে আবাসনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন- এমপি আজিমকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। হত্যা করার পর তার দেহ লুকিয়ে ফেরার জন্য স্থানীয় কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। খুনের পর আবাসনের ফ্ল্যাটটি ধুয়ে দেওয়া হয় ভালো করে।
পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, লাল রঙের একটি গাড়ি এসে নিউটাউনের ওই আবাসনে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে তিনজন নেমে আসে। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। পরে বের হওয়ার সময় দুইজনকে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটি শনাক্ত করেছে পুলিশ।
স্বর্ণ চোরাচালানের দ্বন্দ্বের জেরে খুন?
তদন্তকারী সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাচালানের আন্তর্দেশীয় চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে ভারতে নিয়ে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন নামের এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এমপি আজিমের বিরুদ্ধে চোরাচালানসহ অন্তত ২১টি মামলা ছিল। যদিও পরে সেসব মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)