দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি
আয় কম খরচ বেশি, বিপাকে কলারোয়ার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা
চলছে হালখাতার মৌসুম। আর গত কয়েকমাসে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে নাভিশ্বাস নিম্ন আর নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ মানুষদের। হালখাতা আর প্রায় সবকিছু জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা তারা।
আয় কম খরচ বেশি হওয়ায় সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। সারাদিনের খাটুনি, তার উপরে সংসারে চালাতে ব্যর্থতা প্রায় প্রতিটি নিম্ন আর নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সংসারের কর্তাদের। সংসার, দায়দেনা, বাচ্চার লেখাপড়া, পারিপার্শ্বিক খরচের বহরে পরিস্থিতি সামাল দেবেন কি করে সেই ভাবনায় সারাক্ষণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা। জন বা কামলা দেওয়া টাকায় সংসার খরচ করে শূন্য পকেট যেনো কর্তার চোখে সরিষা ফুল। রঙ্গিন পৃথিবী যেনো ধুসর মরুভূমি তাদের কাছে।
এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার অনেক নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষজন।
ভুক্তভোগিরা জানান- বেশিরভাগ কৃষক জমিতে ফসল করে নিজের খোরাকি রেখে, সার ও কীটনাশকের মূল্য চুকিয়ে লাভ তো দুরের কথা হালখাতার সময় মহাজন ব্যবসায়ীর কাছে মিনতির সুরে বলছে- এর বেশি পারছি না, পরে শোধ করে দেবো। এরপর মহাজনের চোখ রাঙানি বা অসন্তুষ্টি।
তারা বলেন, দিনমজুরের মাঠে কোন ফসলি জমি নেই। সারা বছর কামলা খাটে। কোন রকমে চলে, দিন আনা দিন খাওয়া। পরিবারটির কি অবস্থা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির বাজারে, ভেবে দেখেছেন কি বিত্তবানরা?
সাইফুল ইসলাম ও সুকুমার জানান, সংসার চালাতে গিয়ে আর দেনার দায় মেটাতে জমির একটি অংশ টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, হালখাতার এই মৌসুমে দেনা পরিশোধের জন্য চড়া সুদে টাকা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
নিম্ন আর নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জেরে কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন সেটা শুধু জানে সেই পরিবারগুলোই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)