জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও পরিচালক মাহফুজ ইমন
গায়ক হলেও বর্তমানে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে বেশি পরিচিতি অর্জন করেছেন। সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক, সুরকার, শিল্পী মাহফুজ ইমন। বাংলাদেশের সংগীত জগতে এক অপূর্ব স্বরলিপি হিসাবে স্থান পেয়েছেন তিনি। তার মাধ্যমে ইসলামিক সংগীতের শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য প্রকাশের সময়ে মাহফুজ ইমন অপার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তার সঙ্গীতে অদ্বিতীয় সংগীতিক সমৃদ্ধি, মধুর আবৃত্তি ও মধুর গায়কত্বের সমন্বয় প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছে। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ভালোবাসা থেকেই সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। যার শুরুটা ২০১৩ সাল থেকে হলেও পেশাগতভাবে সংগীত পরিচালক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ২০১৮ সালে এসে। তখন থেকেই বিভিন্ন টিভি নাটক গুলার আবহ সংগীত ও একক সংগীত এর পরিচালনা করে আসছিলেন।
পাশাপাশি বেশ কিছু ইসলামিক গজল নিয়ে তিনি কাজ করেন। শুরু তে সাফল্য না পেলেও বর্তমানে তার বেশ কিছু ইসলামিক গজল ইউটিউব এবং টিকটক এ প্রচুর সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে তার সংগীত করা উল্লেখযোগ্য দুটি গজল “নবীর রওজা শরীফ (আরশের মেহমান) এবং মনের ঘরেতে রেখেছি যারে। এই গজল দু’টি এরইমধ্যে ইউটিউবে ৩৩ মিলিয়ন ও ৬০ মিলিয়ন পার করেছে।
এই প্রসঙ্গে মাহফুজ ইমন বলেন, দর্শকদের এত ভালবাসা পাবো তা অপ্রত্যাশিত ছিল। এভাবে অনুপ্রানিত হলে ভবিষ্যতে আরও এমন গজল উপহার দিতে চান এই সংগীতশিল্পী।
প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী গায়ক এবং সুরকার মাহফুজ ইমন এর সাফল্যের সাথে তার জনপ্রিয়তাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলটি ১ লাখ সাবস্ক্রাইব অতিক্রম করায় তিনি ইউটিউব থেকে সিলভার প্লে বাটন পেয়েছেন।
গজল দুইটি প্রচুর ভাইরাল হওয়ার ফলে। ইউটিউবে ভিডিওটি ক্ষণস্থায়ীভাবে অসংখ্য দর্শকের চোখে পড়েছে এবং অসংখ্য টিকটক ব্যবহারকারীরা এই গানে ভিডিও বানিয়েছে ও রিলস বানিয়েছে।
মাহফুজের ইসলামিক সংঙ্গীত কর্মকাণ্ডে প্রভূত সৃজনশীলতা এবং মানসম্পদের এক অপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায়। তাঁর সংগীতে মধুর আবৃত্তির সঙ্গে ইসলামিক ধর্মের আদর্শগুলোর প্রতীক সমন্বিত হয়েছে। তাঁর সংগীতে আধুনিক সঙ্গীত শৈলী এবং ইসলামিক সংঙ্গীতের মধুর মিশ্রণ দেখা যায়।
মাহফুজ ইমনের সংগীতে ইসলামিক সংঙ্গীতের উচ্চতম মানসম্পদ ও আদর্শগুলো প্রতীক্ষাকৃত উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামিক নীতিমালা, আদর্শ জীবনযাত্রা এবং ইসলামিক মতবাদের মূল্যায়ন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)