বুধবার, জানুয়ারি ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন

আওয়ামী লীগের অন্যতম বড় স্তম্ভ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। যিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। যার ভরাট কণ্ঠের স্লোগানে বারবার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে আওয়ামী লীগ।

নানা চড়াই উৎরাই এর মধ্যেও সাজেদা চৌধুরী ধরেছিলেন নৌকার হাল। যখনই দুঃসময় এসেছে তখনই এই সাহসী নারীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে জয় বাংলা শ্লোগান।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জাতীয় সংসদের এই উপনেতা ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সেই ১৯৫৬ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন।

সেই শুরু। দলে নানা সময়ে বিভাজন, নেতৃত্ব সংকট হয়েছে কিন্তু কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। সময়ে দুঃসময়ে সবার আগে এগিয়ে আসেন সাজেদা চৌধুরী।

আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খুঁটিগুলোর একটি হিসাবে ধরা হতো সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। শেখ হাসিনার কাছে যিনি ফুপু।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ যখন অস্তিত্ব সংকটে, তখন যে কজন মিলে দল পুনর্গঠিত করার কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন অন্যতম।

তিনি শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। দলের সব ধরনের কর্মসূচিতে সাজেদা চৌধুরীকে পাওয়া যেতে সবার আগে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে কখনই তিনি রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যাননি।

২০০৭ সালে যখন দেশের রাজনীতিতে চরম সংকটময় মুহূর্তেও শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। দলের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী টানা তৃতীয়বার মহিলা সংসদ উপনেতা হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।

১৯৯২ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক নানা কাজে নিজেকে জড়িয়ে ছিলেন বরেণ্য এ রাজনীতিক।

বঙ্গবন্ধু নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করে তা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন তার ওপর। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার নির্বাচিত হন তিনি।

আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একজন সাধারণ কর্মী থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়া হলে সেটা ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন : আইন উপদেষ্টা

গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটিবিস্তারিত পড়ুন

সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) চার দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে পৌঁছেছেনবিস্তারিত পড়ুন

মেধাবী, সৎ, ভালো ও আদর্শবানদের দলের সামনে নিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

সদস্য পদ নবায়নে মেধাবী ও ভালো মানুষের গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

  • ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো
  • গর্ভবতী-সন্তানসহ নারীরাও গুমের শিকার হয়েছিলেন : গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন
  • বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
  • জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: সিইসি
  • পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক
  • সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহারের অনুমতি পেলো বিজিবি
  • হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের বিশেষ নির্দেশনা ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের
  • ট্রাম্পকে শুভকামনা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বঞ্চিত উপসচিবরা পদোন্নতি পাচ্ছেন
  • ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সেই ১৯৩ জনের ফল স্থগিত