বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর

অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণ করতে নগর পরিকল্পনাবিদসহ সবার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানিপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার ব্যাপারেও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই অগ্নিনির্বাপণের মহড়া (ফায়ার ড্রিল) করতে হবে, যাতে সবাই বিপদ মোকাবিলার সময় করণীয় সম্পর্কে জানতে পারে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার ফায়ার ফাইটিং দলকে আধুনিক সরঞ্জামে শক্তিশালী করছে। নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। উদ্ধারকাজে যাওয়া অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের ওপর আক্রমণকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

সরকারপ্রধান জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুতদার এবং অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সেখানে যারা হোল্ডিং করবে বা যারা মানুষের এই প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে কোনো রকমের খেলা খেলতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌‌যদিও করোনাভাইরাসের জন্য সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তার ওপর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ এর ওপর আরও বেশি প্রভাব ফেলছে। তারপরও আমি বলবো অনেক উন্নত দেশে এখন খাদ্যের জন্য হাহাকার। ইনফ্লেশন রেট কোথাও ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ইউরোপিয়ান দেশে ৭, ৮, ৯ শতাংশ ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি) রেট। তারপরও আমরা কিন্তু আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।’

দেশের মানুষকে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘সেই সঙ্গে দেশের মানুষকেও বলবো, এই যুদ্ধের কারণে আপনারা জানেন যে বিদেশ থেকে যে সব জিনিস আমরা আমদানি করি সেগুলো আনা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে, পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য আর রফতানি করছে না বা তারাও বিপদে আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে- আমাদের যে মাটি, মানুষ আছে এটা ব্যবহার করে আমাদের নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।’

এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে নতুন করে দেশের পাঁচটি বিভাগের, ২৫টি জেলার, ৩৯টি উপজেলার ৪০টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম নতুন করে চালু হল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০০৯ সালে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। বর্তমানে দেশে চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৫৬টি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন আরও ৫৫টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন তারা।

সারাদেশে প্রত্যেক উপজেলা ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণে তিনটি প্রকল্প চলমান। চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা হবে ৫৪৪টি। ফায়ার স্টেশন নির্মাণ ছাড়াও অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করা, ফায়ার ফাইটারদের উন্নত প্রশিক্ষণসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সংস্থাটির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

ফায়ার স্টেশন এবং এর মূল্যবান যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফায়ার স্টেশনগুলো এবং এর মূল্যবান যন্ত্রপাতি জনগণের সম্পত্তি। এগুলোর যথাযথ যত্ন নেবেন। সর্বোচ্চ পরিমাণ সেবা যাতে আমরা পেতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে সে জন্য দেশের জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জলাধার সংরক্ষণ, বিভিন্ন ভবন, কল-কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন কল-কারখানা, বড় মার্কেটগুলোতে মাঝে মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কি করতে হবে, কীভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে- সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ এবং সাধারণ কর্মীদের নিয়ে মাঝে মধ্যে মহড়া করার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। বিভিন্ন ঘটনায় অগ্নিনির্বাপণ কাজে ফায়ার ফাইটারদের দক্ষতা ও ত্যাগের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় অগ্নি নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধার কাজে অংশ নিতে গিয়ে নিহত ফায়ার ফাইটারদের কথা স্মরণ করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। অত্যাধুনিক ও দক্ষ ফায়ার সার্ভিস সেবা নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দেশের অগ্নি ঝুঁকি ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বাহিনী আমাদের প্রয়োজন। ’

ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ইসকন নেতা গ্রেপ্তার: যেভাবে ঘটে আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ড

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতাবিস্তারিত পড়ুন

টিএসসিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গায়েবানা জানাজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আইনজীবী সাইদুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ইসকন ইস্যুতেবিস্তারিত পড়ুন

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
  • আইনজীবী হত্যায় জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনসহ ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া
  • ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না: তারেক রহমান
  • চিন্ময় ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা বাংলাদেশের
  • রাষ্ট্রদূত হলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম
  • উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন?
  • আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে কুপিয়ে হ*ত্যা করলো চিন্ময়ের অনুসারীরা
  • সংকট সমাধানে জনসমর্থিত সরকার প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
  • বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার : আসিফ মাহমুদ