দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
দেশে ধেয়ে আসছে শীত। এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। জেলায় সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়লেও সকাল ১০টার পর বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যা গতকাল সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরেই ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে।
এদিকে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সোমবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা। তবে এবার নভেম্বরে দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত খুব শীত অনুভূত হয়।
এদিকে দিনে-রাতে তাপমাত্রা বিরূপ হওয়ার কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই থেকে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় জেলায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)