সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে এক লম্পটের ফাঁদে পড়ে স্বামীকে তালাক দিলেন এক সন্তানের জননী!

নড়াইলে এক লম্পট এর ফাঁদে পা দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা হলেন এক সন্তানের জননী। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রমনীনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লার পুত্র রুহুল আমিন মোল্ল্যা (৩৫) এর ফাঁদে পা রেখে স্বামী সংসার ছাড়লেন এক সন্তানের মা।

থানার অভিযোগের বিবরণ ও এই মহিলা খানম (২৫) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি নড়াইল সদর চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে। তার বাবার নাম শহীদ শেখ, থানা জেলা নড়াইল সদর। অভিযোগকারী মহিলা খানম বলেন, রুহুল আমিনের সাথে আত্মীয়তা হিসেবে পরিচয় শুরু হয় এক বছর আগে। তখন থেকে রুহুল আমিন আমার মোবাইল নাম্বারটা কারো কাছ থেকে নিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় ফোন করতো এবং বিভিন্ন কথা বলতো। আমি তখন তাকে আমার ফোনে ফোন দিতে নিষেধ করি ও বলি আমার স্বামী সন্তানের কথা। সে আমার কোন কথা কর্ণপাত করে না। এক পর্যায়ে তার সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন সে আমাকে নিয়ে সংসার করবে বলে আশা দেন। আমি তার কাছে তার বউ বাচ্চা আছে নাকি জানতে চাই রুহুল আমিন বলে যে, বউ আরেক লোকের সাথে চলে গেছে আর বাচ্চাদের তার ভাইদের বাড়ি রেখে গেছে। তখন রুহুল আমিন আমাকে অনেক ধরনের আশা দেন ও বলেন তোমাকে নিয়ে আমি অনেক দুরে চলে যাব, তোমাকে অনেক সুখে রাখবো। এর মাঝে রুহুল অামিন আমাকে বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে নিয়ে যায় ও কোরআন শরিফে হাত রেখে বলে তোমাকে বিয়ে করবো। সেই সময় রুহুল আমিন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক যৌন নির্যাতন করে। এরপর থেকে বিয়ে করবে বলে রুহুল আমিন আমাকে অনেক দিন ঘুরাতে থাকে। এর কিছু দিন পরে রুহুল আমাকে ফোন দিয়ে কিছু টাকা লাগবে বলে জানাই। আমি তখন আমার কাছে থাকা বিশ হাজার টাকা রুহুল আমিন কে দিই। আর বলি বিয়ে কবে করবা। তখন বলে কয়দিন পরে। সেই কথা গুলো তখন আমার মোবাইলে রেকডিং করে রাখি। তখন রুহুল আমিন আমাকে বলে আর কিছু দিন পরে নড়াইলের চাকুরী ছেড়ে দেবো, পরে বিয়ে করবো।এর ১৫ দিন পর রুহুল আমার কাছে আবার টাকা চাইলে আমার সোনা গহনা সব বন্ধক রেখে নগদ মোট তিন বারে ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা দেয়। এই টাকা নেওয়া হলে এর কিছু দিন পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। একদিন সে আমার মোবাইলের ইমোতে আমাকে মেসেজ পাঠাই যে তাকে পেতে হলে আরো চার লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিতে পারলে তার আশা ছেড়ে দিতে।আমি কান্নাকাটি করলে সে গালিগালাজ করে। এর কিছু দিন পরে রুহুল আমিন আমাকে বলে যে, আমার স্বামী কে তালাক দিতে। তাহলে সে আমাকে বিয়ে করবে। তখন আমি বাধ্য হয়ে আমার স্বামী কে ১৫/৭/২০২০ তারিখ তালাক দেই। কিন্তু রুহুল আমিন আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ও নানান ধরনের হুমকি দেয়। তখন আমি লোহাগড়া থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটা নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ার ইক্বরা চাইল্ড ক্যাডেট একাডেমিতে হিফজ বিভাগের উদ্বোধন

কলারোয়ার ইক্বরা চাইল্ড ক্যাডেট একাডেমিতে নতুন ভাবে পথচলা শুরু করলো হিফজ বিভাগ।বিস্তারিত পড়ুন

ভোমরা বন্দরে বেড়েছে শুকনা হলুদের আমদানি, বাজারে কমেছে দাম

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে শুকনা হলুদের আমদানি বেড়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রবিস্তারিত পড়ুন

  • লাগামহীন লুটপাট আ.লীগ আমলের বড় নিদর্শন: উপদেষ্টা আসিফ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : পরীক্ষায় নকল করলেই ৪ বছর নিষিদ্ধ
  • বিএনপিকে ‘সংস্কারবিরোধী’ বলে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে- মির্জা ফখরুল
  • দুর্নীতির সমস্যা চিরতরে দূর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
  • বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মহররম ও আশুরার শিক্ষা-তাৎপর্য
  • ‘রাজনৈতিক দলের প্রভাব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে’
  • সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • দুর্নীতির সমস্যা চিরতরে দূর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
  • ১২টি ছাড়া বিএনপির নামের সব সংগঠন অবৈধ
  • রাজনীতি করতে চাই দেশের স্বার্থে: আখতার হোসেন
  • ‘ওড়না কেড়ে নিয়ে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতো, আর বলতো এখন পর্দা ছুটে গেছে’