তারেক প্রসঙ্গে
পলাতক আসামির মুখে এত বড় কথা আসে কোথা থেকে : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ পালানোর পথও খুঁজে পাবে না, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পলাতক আসামির মুখে এত বড় কথা আসে কোথা থেকে?
মঙ্গলবার ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষক লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কোনো দিন পালায়নি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া চেষ্টা করেও শেষ করে দিতে পারেনি আওয়ামী লীগকে। তাদের দোসর জামায়াত, এতকিছু করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করেছিল তারেক জিয়া। সেই পলাতক আসামি বলে, আমরা নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাব না। আরে তোরা তো পালিয়ে আছিস! পলাতক আসামির মুখে এত বড় কথা আসে কোথা থেকে?
তিনি বলেন, যে পরিমাণ নির্যাতন আওয়ামী লীগ ও আমার ওপর করেছে, একভাগও প্রতিশোধ নিলে তো তাদের হদিসই পাওয়া যেতো না। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। প্রত্যেককে তার কর্মসূচি করার সুযোগ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রথম একটা স্থিতিশীল অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজমান। যে কারণে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়শীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দিয়েছি, অথচ বিএনপি এটি চায়নি। তারা হাত পাততেই পছন্দ করে। এতেই তাদের লাভ। কিন্তু আমরা ভিক্ষুক জাতি হতে চাই না। আমার মাটি, সোনার মাটি, উর্বর মাটি। বীজ ফেললেই গাছ হয়, সেদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে কেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকরাই আমাদের অন্ন জোগায়। জাতির পিতা কৃষকদের সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষকরা কষ্ট করে ফসল ফলায়। আমাদের তাদের সেই কষ্টের মূল্য দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সেটা করে। সারের দাম কমিয়েছি। বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। কৃষিখাতে ভর্তুকি আমরা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবসময় মানুষের পাশে থাকি, তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজটি আমরা করছি।
তিনি বলেন, ৭১ এর ধ্বংসস্তূপ থেকে দাঁড়িয়েই জাতির পিতা এ দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। মাত্র তিন বছরের মাথায় তাকে বিদায় নিতে হল। তার ইতিহাসটুকুও মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। এটা প্রমাণিত সত্য। আমি যখন এসেছিলাম, কোথায় থাকবো, সেটাও ঠিক ছিল না। শুধু এতটুকু জানতাম আমার যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ আমার মূল শক্তি। এদের ওপর নির্ভর করেই আমি সেদিন এয়ারপোর্টে নেমেছিলাম। বাংলার মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছিল। আমিও তাদের আপন করে নিয়েছিলাম। আমার প্রত্যয় ছিল- আমার বাবার দিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না। আজকে সেটা প্রমাণ করেছি। আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিমসহ আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের শীর্ষ নেতারা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)