প্রেমে পড়লে মৌসুমীর প্রেমে পড়তাম: মিশা সওদাগর
ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর সঙ্গে কাজের সূত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর।
মৌসুমী অভিনীত অনেক সিনেমায় খলচরিত্রে মিশাকে দেখা গেছে। এ চিত্রনায়িকার অন্যতম অনুরাগী বলে জানিয়েছিলেন মিশা।
সফল এই খলঅভিনেতা এবার জানালেন, মৌসুমীকে কতটা পছন্দ করতেন তিনি।
মিশা বলেন, ‘যদি প্রেমে পড়তে হতো, তা হলে মৌসুমীর প্রেমে পড়তাম’।
রোববার চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের একটি ভিডিও ব্লগে এমনটিই বললেন মিশা।
মিশা বলেন, ‘সিনেমায় আসার পর যদি প্রেমে পড়তেই হতো, তা হলে মৌসুমীর প্রেমে পড়তাম। ওর ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা এসব কারণে ভালো লাগত। অবচেতন মনেই ওর প্রতি ভালো লাগা কাজ করত। তবে প্রেমে পড়েছি, এটি বলা যাবে না।’
এ সময় শাবনূরের প্রসঙ্গও টানেন মিশা। বলেন, ‘শাবনূরের অভিনয়ের প্রেমে পড়েছিলাম। ওর কণ্ঠস্বর আর চোখের ব্যবহার ছিল চমৎকার। ওর মতো শিল্পী আমাদের প্রজন্মে নাম্বার ওয়ান।’
জীবনে প্রেম কয়টা করেছেন, সাইমনের এমন প্রশ্নে মিশা বলেন, প্রেম করেছি তোমার ভাবির সাথেই। আমি যখন ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী তখন ও ক্লাস এইটে পড়ত। তখন থেকেই তার প্রেমে পড়ি। এই প্রেম চলেছে দীর্ঘ সময়। আসলে আমি পড়ালেখায় ভালো ছিলাম না। কিন্তু তোমার ভাবি ভালো স্টুডেন্ট ছিল। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে সে। এক কথায় মানুষের যে কোয়ালিটি থাকে, যা আকর্ষণ করে, তোমার ভাবির সেটা রয়েছে। তেমন কোয়ালিটি মৌসুমীর মধ্যেও ছিল।
মিশা স্পষ্ট করেন, অল্প বয়সে বিয়ে করায় স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও প্রেমে পড়ার সুযোগই পাননি এ অভিনেতা। সিনেমায় আসার পর প্রেমের সুযোগ এলেও নিজেকে এসবে জড়াননি তিনি।
উল্লেখ্য, প্রেমিক পুরুষ মিশা সওদাগর। দশম শ্রেণিতে থাকতেই মিতা নামের এক তরুণীর প্রেমে পড়েন তিনি। সেই প্রেমকে পূর্ণতা দিয়ে মিতাকে বিয়ে করেন। মূলত স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিল রেখেই নিজের ‘মিশা’ নামটি রাখেন তিনি। মিশার আসল নাম শাহীদ হাসান। দাম্পত্য জীবনে সুখেই আছেন মিশা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)