শুক্রবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

রংপুরে ‘লজ্জায়’ আ.লীগ-ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর পর এই ঢেউ লেগেছে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও। হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে একের পর এক পদত্যাগ করছেন সংগঠনটির পদধারী নেতারা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল থেকে থেকে বুধবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্নজনের পদত্যাগের খবর পাওয়া যায়। বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন শাখা থেকেও অনেকে পদত্যাগ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে দুইটি গ্রুপ থেকে লিভ নিতে দেখা যায়। আবার অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুর রহমান মুবিন, ফজলে রাব্বি, যুগ্ম সম্পাদক পিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ, উপ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, সহ-সম্পাদক মাথিন লোহানী ও সম্পাদক মো. আল-আমিন মিয়া, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সরকার, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাজন আহমেদ, উপ-পাঠাগার সম্পাদক শাহিন ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ঋয়ানসহ অনেক নেতাকর্মী।

বেরোবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আজকের ঘটনা আমার আদর্শ বহির্ভূত, তাই আমি সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।

সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি লেখেন, আমি এক কুলাঙ্গার, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।

পিয়াস লেখেন, আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

সহ-সম্পাদক মো. আল আমিন মিয়া লেখেন, আমি মো. আল আমিন মিয়া। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক পদে আছি। আমি আমার বিবেকের কাছে লজ্জিত হয়ে আমার ছাত্রলীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এখন থেকে ক্যাম্পাসের কোনো রাজনীতির সঙ্গে আমি আর যুক্ত নই।

সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একজন ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এইটা কখনোই মানতে পারব না। সবার চোখে সামনে আমাদের ছোট ভাইয়ের বুকে গুলি করলো, সে মারাও গেল, অথচ আমরা চুপ।

এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও অনেকেই পদত্যাগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তা নিশ্চিত করেছেন। রংপুর আইএইচটি (১৮-১৯) ব্যাচের ফারজানা আক্তার নওরিন আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আলপনা আক্তার রিতু গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি লিখেছেন, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত কর। আর যেন কোনো মায়ের কোল খালি না হয়, এসব আর সহ্য হচ্ছে না। আমি কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নই, কিন্তু বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের জাতির পিতা হয়ে থাকে তাহলে তো আমরা সবাই তার সন্তান তাহলে কেন সেখানে কোটার বৈষম্য থাকবে? কোটা সংস্কার করা হোক।

গত দুইদিনে এমন শতাধিকের বেশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো থেকে অনেকের পদত্যাগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এ নিয়ে দলীয় নেতারা কথা বলতে নারাজ। এমনকি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কেউ এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে বেরোবি ক্যাম্পাসের সামনে পার্ক মোড়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় সংঘর্ষের সম্মুখে থাকা আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ছেড়েছেন। তবে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে নিহত আবু সাঈদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগমুক্ত ঘোষণা করে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ ও প্রক্টর শরিফুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করে তাদের পদত্যাগের দাবি তুলে নানা স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আহসানুল জাব্বার।

দাবিগুলো হলো- কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ করতে হবে। অবিলম্বে হত্যাকারী পুলিশ এবং নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটকে ‘শহীদ আবু সাঈদ তোরণ’ নামে নামকরণ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাস ও দখলদারিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত কর।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহবান ঢাকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক এবং অ্যান্ড্রু হেরাপের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররতবিস্তারিত পড়ুন

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বললো বাংলাদেশ

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী সংঘটিত নৃশংসতা ও গণহত্যার জন্য দেশটিকেবিস্তারিত পড়ুন

  • পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের
  • ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭৮২২ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী’
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • ঢাকায় আসা মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে কী কথা হলো বিএনপির
  • বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  • প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি বিএনপির, কী আছে এতে?
  • আলোচনায় মোটেও সন্তুষ্ট নই, ভোটের কাট অফ সময় ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
  • নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত: আসিফ নজরুল
  • বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • যেন আমাকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল
  • বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণ নির্ধারণ করবে : যুক্তরাষ্ট্র