শার্শায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে বোমা বিষ্ফোরণ : মামলা, আটক ৪
শার্শা উপজেলা বিএনপি’র গ্রুপের দ্বন্দ্বে মুহুর্মুহু বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনায় আহত হয়েছে ২জন।
রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম (বেড়ে বাবু) ও শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, বিএনপি কর্মী মনিরুল ইসলাম ও তারিকুল ইসলামকে আটক করে শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মফিজুর রহমান (৪৮) নামে এক বিএনপি কর্মী আহত হয়। আহত মফিজুরকে হাসপাতালে দেখতে আসলে বিএনপি নেতা আব্দুল হাই (৫৬)কে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে উপজেলা সরকারি হাসপাতালের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং মুহুর্মুহু বোমা বিষ্ফোরণ। সেসময় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
পরে শার্শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানায়, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি’র সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই রেশ ধরে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তৃপ্তি গ্রুপের সমর্থকরা হাসান জহির গ্রুপের সমর্থক মফিজুরকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় আহত মফিজুরকে হাসপাতালে দেখতে আসলে বিএনপি নেতা আব্দুল হাইকেও পিটিয়ে আহত করে।
শার্শা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান জানান, বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাতেই ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞত ২০/২৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। ৪জনকে আটক করে শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)