শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যে কারণে মোদির ওপর ক্ষুব্ধ মমতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ১০টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন করা হয়েছে।
এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ক্ষেপেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এটাকে ‘বাংলা বিক্রির পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, রাজ্যের বুকে রাজ্যকে এড়িয়ে এবং স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফারাক্কা-গঙ্গা চুক্তিতে রাজ্য সরকারও পক্ষ। কিন্তু নবায়ন করার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি। যা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এই চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের যে পাওনা টাকা, তাও বকেয়া রয়েছে। গঙ্গার ড্রেজিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা বাংলায় বন্যা এবং ভাঙনের প্রাথমিক কারণ হয়ে উঠেছে।

১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি নিয়ে চুক্তি হয়। তাতে একাধিক রাজ্য সরকারও শরিক। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল বলছে, ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ফারাক্কার বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বেড়িবাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাংশে গঙ্গাভাঙন নিয়ে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল বলেছে, দুই বছর আগে মমতাও বলেছিলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের জন্যই বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে। যার ফলে মানুষের ভিটেমাটি যেমন যাচ্ছে, তেমনই ক্ষতি হচ্ছে চাষেরও।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের পক্ষ থেকে খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরেই তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্য দেশের সঙ্গে কোনো বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত করার অধিকার কেন্দ্রের রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রকে এটাও বুঝতে হবে, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে তিস্তা পানিবণ্টনের মতো চুক্তি থমকে থাকে। তিস্তা পানিবণ্টন নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের পর কেন্দ্রও সম্মত হয়েছে, বাংলাকে এড়িয়ে গিয়ে তারা কিছু করবে না।

এদিকে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশন আগামীকাল সোমবার (২৪ জুন) শুরু হচ্ছে। এবার শক্তিশালী বিরোধী দলের আসনে বসতে যাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৯ জন এমপি নিয়ে দলটি এবার লোকসভায় যাচ্ছে। ফারাক্কা চুক্তি ইস্যুতে তারা সংসদে সরব হবেন বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই ইস্যুতে লোকসভা অধিবেশন শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা : বাংলাদেশের বক্তব্য নিয়ে ভারতের বিবৃতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুবিস্তারিত পড়ুন

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহবান ঢাকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না, এত তাড়াহুড়োর কী ছিল: মোদিকে মমতার প্রশ্ন
  • মোদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে চুক্তি করতে বললেন মমতা
  • উত্তেজিত হলে হারবেন, শান্ত থাকলে জিতবেন: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মমতা
  • জামায়াতের ঘোর বিরোধী, বিএনপিকে নিয়ে ভারত কী ভাবছে?
  • পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ: শুভেন্দু
  • ভারত থেকে এলো ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল
  • ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের সমস্যা হবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না : জয়শঙ্কর
  • বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত
  • বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন না হলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের
  • ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার আহবান ড. ইউনূসের
  • নতুন শুল্ক আরোপ : যুক্তরাষ্ট্রে ভারত-ভিয়েতনামের দেনদরবার!