শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীকে ‘যা প্রয়োজন’ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিসে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।
জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিলিটারি পুলিশের বাঁধা টপকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখল করেন তারা।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবুও পিছপা হননি বিক্ষোভকারীরা।
আর এরপরই দেশটির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। টিভিতে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করার প্রয়োজন তা করতে পুলিশ ও সেনবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিক্রমাসিংহে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, আমি সেনাবাহিনীর কমান্ডার এবং পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করার প্রয়োজন তাই করতে।
যারা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে যারা আমাকে বাঁধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যব্স্থা নিতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংবিধানকে ছিন্ন করতে পারিনা।আমরা ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতায় আসতে দিতে পারি না।গণতন্ত্রের ওপর ফ্যাসিস্টদের এ হুমকি আমাদের বন্ধ করতে হবে।
যারা এমন বিশৃঙ্খলা করছে তাদেরকে অবশ্যই জেলে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
সূত্র: এনডিটিভি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)