সাতক্ষীরা জেলা প:প: উপ-পরিচালক রওশান-আরা জামানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
সোমবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুপুর একটার সময় জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সচেতন নাগরিক কমিটির আয়োজনে সাতক্ষীরায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক রওশান-আরা জামান‘র ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূনর্ীতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানব বন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেত্রীবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে অনুলিপি প্রেরন করেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, দুর্ণিতি দমন কমিশনের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিব, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর।
লিখিত স্মারকলিপি ও বক্তাদের বক্তব্যে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক রওশান আরা-জামান ও তার অধিনস্থ আশাশুনি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও আশাশুনি মেডিকেল অফিসার (এম সি এইচ এফ পি ) ডাঃ পলাশ দত্ত তদের যৌথ পরিকল্পনায় দীর্ঘ বছর যাবাৎ পূর্নাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলাকে বিভাগিয় জিম্মী করে বিভিন্ন ভাবে অসৎ উপায়ে অর্থ বানিজ্য ইমপ্রেশ ফান্ড, নিমার্ন ও মালামাল ক্রয় না করে অর্থ ্আত্ত্বসাৎসহ নানা বিধি অপকর্ম কান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছে তারা।
বক্তারা আরও বলেন, উপ পরিচালক রওশান-আরা জামান প্রথম শ্রেনির কর্মকর্তা হাওয়া শর্ত্বেও তার নিজ জেলার অদৃশ্য শক্তির বলে দীর্ঘ ১০-১২ বছর যাবৎ চাকুরি করে আসছেন। তার সরকারি অফিসকে নিজের ব্যক্তিগত অফিসের মত ব্যবহার করে জেলা ব্যাপি সরকারি নিয়মনিতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে বদলী ও নিম্ম পদের কর্মচারিদের হয়রানি ও ভয়ভিতি প্রদান করা তার প্রতিদিনের কাজ। উপপরিচালক রওশান আরা জামানের বিশ্বস্ত পোষ্য অবৈধ পথের একনিষ্ঠ সহায়ক হিসাবে পূর্নাঙ্গ জেলার অপব্যবহার করছেন আশাশুনির পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা জাহাঙ্গীর আলম ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ পলাশ দত্ত। তারা তিনে মিলে সাতক্ষীরা জেলার সদ্য নির্মান হাওয়া নিন্মমানের চাম্মাফুল মা ও শিশু সাস্থ কেন্দ্র, দরগাহ পুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ভোমরা জনসাস্থ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র প্রতেকটিতে ব্যায় হয় ৪ কোটি ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৩টি ভবন বাবদ ১২কোটি ৬৬লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অর্থ আত্বসাতের অবস্থান কঠিন আকার হওয়ায় সামান্য সময়ে ভবন গুলি ঝুকিপূর্ণ, সেবা দান ও সেবা গ্রহনের অণুপজযোগী হয়েছে অল্প সময়ে। এছাড়া সংস্কারের নামে অর্থ লুটের নৈরাজ্য চলছে বলে দাবি করেন বক্তারা ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার সদ্য সংস্কার হওয়া ভবনগুলির মঝে আলিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, বল্লি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কুশখালি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দেবহাটায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, পারুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, আশাশুনি আনুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কাদাকাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, বুধহাটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, প্রাতাপনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কলোরোয়া কেরালকাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, হেলাতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, তালা নগরঘাটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, খলিশখালি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কালিগঞ্জ মৌতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, এছাড়া কালিগঞ্জ ও শ্যমনগরের বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রসহ প্রতেকটি সেক্টরে নামকে ওয়াস্তে কোন রকম রংঝং করে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের মাধ্যমে তারা তিন কর্মকর্তা ভাগের অর্থ আদায় করে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যরত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ইনচার্জের নিকট থেকে হুকুম জারি করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলে বক্তারা লিখিত ও বক্তব্যে বলেন। কাজ বুঝে নেয়ার সুযোগ নাকি ওই তিন অফিসার দেননা।
প্রত্যেকটি সেন্টারে সংস্কার ও রংচং ব্যয় বরাদ্ধ ১১ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা থাকলেও প্রায় ৫ ভাগের ৪ ভাগ আত্ত্বসাত করে, যা সরজমিনে তদন্তকালে প্রমান পাওয়া যাবে বলে দাবি বক্তাদের।
উপপরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্টতা থাকার কারনে আশাশুনি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম একই স্টেশনে সাত বছর যাবৎ অবৈধ ক্ষমতা বলে কর্মরত আছেন ও আশাশুনিতে তার পাপের নৈরাজ্য তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন মানব বন্ধনে। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম সেখানে নারী কেলেংঙ্কারী অর্থ বানিজ্য অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার অবৈধ ক্ষমতার ভয়ে মুখ খোলেনা কেউ। যদি কেউ তার কোনো অপরাধের বিষয়ে কাউকে জানায় তাহলে তাকে তৎক্ষনাতভাবে উপ-পরিচালকের মাধ্যমে পনিসমেন্ট‘র ব্যবস্তা করেন জাহাঙ্গির আলম। জাহাঙ্গির আলম অতিরিক্ত দায়িত্বে কলোরোয়ায় থাকলেও তাকে আশাশুনি থেকে মুঠোফোনে কথা বললে কলারোয়ায় আছি একই সময়ে কলারোয়া থেকে কথা বললে বলে আশাশুনিতে আছি। অর্থাৎ তিনি অদৌ মাসে কয়দিন অফিস কারেন সে নিজেই জানেনা বলে অভিযোগ মানববন্ধনে।
তিনি তার অধিনস্থ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সুন্দরী মহিলাদের নিয়ে অফিসে ও বাহিরে সময় কাটান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা। আবার তার পছন্দের কেহ তার কথায় রজি না হলে তাকে নাকানি চুপানি খেতে হয় এরপরও বাধ্য না হলে শাস্তি স্বরূপ অন্যত্র বদলি করা হয়।
এছাড়া ডাঃ পলাশ দত্ত উপপরিচালক রওশনারা জামানের দূর্নিতির সহায়ক হওয়ায় সে সপ্তাহে কোনো দিন অফিস না করলেও খাতা কলমে ৫দিন হাজিরা থাকে। অফিস চলাকালিন সময়ে তাকে প্রতিদিন সারাদিন নাহার ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে অবৈধভাবে রুগি দেখা ও আল্ট্রাসনো করা ও আবার অফিস চলাকালিন সময়ে ডঃ পলশ দত্ত‘র পছন্দের অধিনস্ত কোনো নারীকে কল করলে অফিস বাদ দিয়ে সাক্ষীরায় এসে তাকে সময় দিতে হয় বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
এছাড়া জাহাঙ্গির আলম ও ডঃ পলশ দত্তের ক্রয় দূর্নিতিতে তারা অফিসে যন্ত্রাংশ ক্রয় না করে লক্ষ লক্ষ টাকা খাতা কলমে দেখিয়ে দিয়ে তাদের গড্ফাদার উপ-পরিচালক রওশনারা জামানের মাধ্যমে হালাল করে নেন। অল্প দিনের মধ্যে তাদের তিনের স্বনামে বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বিলাশ বহুল বাড়ি ও জমি জমা বানিয়েছে। দীর্ঘ বছর যাবৎ অবৈধ্য ক্ষমতা ও পেশি শক্তি বলে তারা সাতক্ষীরা জেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের জিম্মি করে রাম রাজত্ত কায়েম করেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলায় উপ-পরিচালকের কার্যালয় কোটি টাকা ভবন নামের বিল্ডিংয়ে পরষ্পর যোগসাজেসে পর্যাপ্ত পরিমানে অনিয়ম ও দূর্নিতি করেছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সাহাজানের পরিচালনায় শরিফা খাতুন, আকলিমা খাতুন, মর্জিনা বেগমসহ অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)