শনিবার, জুন ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

২০২৪ সালে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই এই সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে ২৮ হাজার ৪৭৩ বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

তবে শুধু শরণার্থী নয়, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও করছেন অনেক বাংলাদেশি। ২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। অধিকাংশ বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ২৪ হাজার ১২৬ বাংলাদেশি জাতিসংঘের কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। ২০২২ সালে ২৩ হাজার ৯৩৫ জন, ২০২১ সালে ২২ হাজার ৬৭২ জন এবং ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯৪৮ জন বাংলাদেশি নিজেদের শরণার্থী দাবি করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে শরণার্থী হিসেবে জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৭৬৬, ২০১৮ সালে ২১ হাজার ২২ এবং ২০১৭ সালে ১৬ হাজার ৭৮০টি।

২০২৪ সালে এক লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এছাড়া ২০২৩ সালে ৭৫ হাজার ৮৬৭ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। ২০২২ সালে ৬১ হাজার ২৯৮ জন, ২০২১ সালে ৬৫ হাজার ৪৯৫ এবং ২০২০ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৬ জন বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৮৬০ এবং ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৮৬০।

তবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই সুযোগসন্ধানী বা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছেন।

অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর জাগো নিউজকে বলেন, অনেকে অবৈধ পথে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ইউরোপ যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকেন বছরের পর বছর। এরপর এরা শরণার্থী হিসেবে স্থায়ী হওয়ার আবেদন করেন।

তিনি বলেন, কিছু দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেমন মিয়ানমার, সিরিয়া, আফগানিস্তান- এসব দেশ থেকে কেউ গেলেই অটোমেটিক তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না। আমাদের অনেকে অবৈধ হিসেবে গিয়ে শরণার্থী পরিচয় দেন, কিন্তু ইউরোপ জানে এরা অবৈধ অভিবাসী।

আসিফ মুনীর আরও বলেন, তবুও ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স আমাদের এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করছে। কিন্ত বাস্তবিক অর্থে যারা অবৈধ পথে এসব দেশে যাচ্ছেন এরা শরণার্থী নন। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বহু মানুষ ইউরোপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে বহু বাংলাদেশি আছেন যারা শরণার্থী হিসেবে গিয়েছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ২৫

চলতি বছর পবিত্র হজপালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে ৩৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

ইরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান

ইরানে যেসব বাংলাদেশি আটকা পড়েছে তাদের ফেরত আনতে পাকিস্তানের সহায়তা চায় বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

তেহরান থেকে দূতাবাসকর্মী ও প্রবাসীদের সরিয়ে নেবে বাংলাদেশ

ইসরাইলি হামলার মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কায় তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাগরিকদের সরিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • পর্যটন ভিসা নিয়ে সন্তান জন্ম দেয়া : যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে দুঃসংবাদ
  • প্রস্তুতি ঠিক থাকলে রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে
  • প্রধান উপদেষ্টাকে কলম ও বই উপহার দিলেন তারেক রহমান
  • বৈঠক শেষে হাসিমুখে হোটেল ত্যাগ করেন তারেক রহমান
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের রুদ্ধদ্বার বৈঠক
  • লন্ডনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমীর খসরুর সাক্ষাৎ
  • ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ
  • আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: প্রেস সচিব
  • ১৭ বছর পর ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • রাজনৈতিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন সকালে : প্রেস সচিব