বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা

কলারোয়া নিউজ ডেস্ক: যতোই দিন গড়াতে থাকলো, আন্দোলনের তীব্র্রতাও বাড়তে থাকলো। ১১ মার্চ, সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। এমনকি সিনেমা শুরুর আগে, সিনেমা হলেও পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি বাজানো শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুসারে, ১৩ মার্চ দেশের প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গঠিত হয় সংগ্রাম কমিটি। পাকিস্তানের পুরো শাসন ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বিবৃতিতে বলেন, ‘… আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররা যাতে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসাবে এবং মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে, সেজন্য আমরা মরতেও প্রস্তুত।… মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব।… বাংলাদেশের মুক্তির উদ্দীপনা নিভিয়ে দেওয়া যাবে না।’

পাকিস্তানি স্বৈরাচার জেনারেল ইয়াহিয়া ঢাকায় আসে ১৫ মার্চ। কালো পতাকা দেখানো হয় তাকে। কোথাও কোথাও স্বাধীন বাংলার পতাকাও ওড়ানো হয়। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয় আলোচনা। মূলত আলোচনার নামে পাকিস্তানিরা সময়ক্ষেপণ করছিল এবং তাদের সেনাবাহিনী ও অস্ত্র আনছিল। বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ধানমন্ডির নিজ বাড়িতেও স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন এদিন। দেশজুড়ে শুরু হয় পাকিস্তানি পণ্য বর্জন।

২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খান সাদা পোশাকে গোপনে ঢাকা ছেড়ে চলে যান। এই খবর পাওয়া মাত্র দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে দেশের সব প্রান্তে স্বাধীনতার চূড়ান্ত বার্তা পাঠাতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনারা। সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘…এটাই সম্ভবত আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।… পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন….।’ (অনূদিত)। ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর তথা ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর নিজের কণ্ঠের এই ঘোষণা বিশেষ ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সম্প্রচারিত করা হয়। চট্টগ্রামের নোঙর করা এক বিদেশি জাহাজও এই বার্তা গ্রহণ করে। রাতেই চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা এই বার্তা কপি করে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন।

২৭ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান পত্রিকগুলোতে এই স্বাধীনতা ঘোষণার কথা ফলাও করে প্রচার করে। ব্রিটেনের ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকার শিরোনামে বলা হয় ‘…শেখ মুজিব ডিক্লেয়ার্স ইস্ট-পাকিস্তান ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। দ্য গার্ডিয়ানের সংভাদে বলা হয়, ‘একটি গোপন বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে’। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাতেও শেখ মুজিব কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বা বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারেরবিস্তারিত পড়ুন

  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • পরিবর্তন চাইছে এশিয়ার ক্ষুব্ধ জেন-জি
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ
  • বয়স ১৬ হলেই পাওয়া যাবে এনআইডি