আসার পরও টিকা দিতে সময় লাগবে ২ মাস
করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসার পরও প্রয়োগের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে অতিরিক্ত আরও ২ মাস। প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতিপ্রাপ্ত টিকা দেশে প্রয়োগের আগে দেশে কোন পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এমন সব সুপারিশসহ দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে পুরো বিশ্ব এখন চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে টিকার দিকে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ এর মধ্যেই সফল প্রয়োগ শুরু করেছে করোনার ভ্যাকসিন।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের টিকা পেতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে চুক্তি করা বাংলাদেশও এখন অপেক্ষায় টিকা পাওয়ার। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকালেই তাই টিকা প্রয়োগ নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন ক্রয় প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
১৩৭ পৃষ্ঠার এ নীতিমালায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়টি তদারকি করতে পৃথক একটি ট্রাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করা হয়। একই সময় উল্লেখ করা হয়, দেশে ভ্যাকসিন আসার আগে থেকে নানা বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। তবে ভ্যাকসিন আসার পরও এর লোকবল নিয়োগ, কারিগরি সহায়তা, কাগজপত্র প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হবে ৮ সপ্তাহ সময়।
শুরুর ধাপে ৩ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে না। তবে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এ সংখ্যা। দ্বিতীয় ধাপে ৭ ভাগ, তৃতীয় ধাপে ১১-২০ ভাগ মানুষকে দেয়া যাবে টিকা। পর্যায়ক্রমে ২১-৪০ ভাগ, ৪০-৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।
এ নীতিমালায় বড় একটি অংশ জুড়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে টিকার নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের বিষয়টি। কি পরিমাণ কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে, সেটিও পরামর্শ দেয়া হয় নীতিমালায়। রোহিঙ্গাদের টিকা দিতে আলাদা করে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পাওয়া টিকার ক্ষেত্রে প্রয়োগের আগে দেশে কোন পরীক্ষা করা হবে না। তবে, স্থানীয় পর্যায়ে আবিষ্কৃত টিকা কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা টিকার ক্ষেত্রে শুরুর ৩ দফায় ল্যাব পরীক্ষা করা হবে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য থাকবে রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট টিম।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)