চিকু-বান্টি কার্টুন দেখে বই পড়ার টেবিল থেকে বিমুখ হচ্ছে বাচ্চারা, সম্প্রচার বন্ধ রাখার দাবি
হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর: ভারতীয় চ্যানেল নিক টিভিতে ছোট বাচ্চাদের দেখার জন্য অনুষ্ঠিত হয় চিকু-বান্টি কার্টুন। এই কার্টুন দেখে বাচ্চারা একপ্রকার উৎশৃখল হয়ে যাচ্ছে। কার্টুনে চিকু-বান্টি দুইভাই তাদের বাসার ভিরত যে পরিস্থিতি করে, এই কার্টুন দেখে বাচ্চারা তাই শিখছে এবং বাচ্চারা তাদের বাসায় তাই করছে। এতে করে বাচ্চাদের সামাল দিতে অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অবিলম্বে এই কার্টুন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের অভিভাবকরা। এই কার্টুনে দেখা গেছে- একটি পরিবারে দুইটি ছেলে চিকু আর বান্টি। এরা সব সময় নিজেদের মধ্যে মারামারি, বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর, পড়তে না বসাসহ যতপ্রকার ঝাঁমেলার কাজ আছে তাই করে। এতে তাদের পিতা মাতা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে তাদের কিছুই হয় না। চিকু আর বান্টি অত্যন্ত ঝাঁমেলা করে থাকে সব সময়। ঝাঁমেলার মধ্যেই থাকে তারা। যতপ্রকার উৎশৃখল কাজ আছে তারা করে।
রাজগঞ্জের আশিকুর রহমান নামের একজন অভিভাবক বলেন- বাচ্চাদের কাছে এই কার্টুনটি এতো পছন্দের তা বলার বাইরে। তিনি আরো বলেন- আমাদের মতে এই কার্টুনটি বাচ্চাদের জন্য মাদকের চাইতে ভয়ংকার। বাচ্চারা সারাদিনও যদি এই কার্টুন দেখে, তাতে কোনো অসুবিধা বোধ করবে না তারা। বাচ্চাদের কাছে খুব পছন্দের হলেও, অভিভাবকদের কাছে খুব সমস্যার।
সিরাজুল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক বলেন- রীতিমতো বাচ্চারা এই কার্টুন দেখে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের বই পড়ার দিকে কোনো আগ্রহ থাকছে না। সব সময় চিকু-বান্টির মতো আচারণ করতে পারলে যেনো ভালো লাগে।
সাবিনা আক্তার নামের নামের একজন অভিভাবক বলেন- তার সাড়ে ৫বছর বয়সী মেয়ে রাত-দিন সব সময় চিকু-বান্টি কার্টুন দেখার জন্য বাইনা ধরে এবং কান্নাকাটি করে। কোনো কিছু বলে বোঝাঁনো যায় না। এককথায় আসক্ত হয়ে গেছে এই কার্টুনের প্রতি বাচ্চারা। তিনি আরো বলেন- এই কার্টুন দেখবে আর বাসায় মেয়ের ভাইয়ার সাথে মারামারিসহ যতপ্রকার উৎশৃখর কাজ আছে তাই করবে। সব চিকু-বান্টি কার্টুন দেখে শিখেছে। এই কার্টুন সিরিয়ালটি বাচ্চারা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে এবং তাদের বাসায়ও, তারা এরকম আচারণ করে। এককথায় বলা যায়, চিকু-বান্টি কার্টুন সিরিয়াল দেখে বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকরা কোনো কিছুতেই থামাতে পারছে তাদের বাচ্চাদের। চিকু-বান্টি কার্টুনটি উল্লেখিত টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার অবিলম্বে বন্ধ রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)