ছুটিতে পাঠানো বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ
প্রধান বিচারপতির চায়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ও বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা ১১ বিচারপতির মধ্যে শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের গণমাধ্যমবিষয়ক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।
মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক অনুসন্ধান পরিচালনাধীন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন দেশের প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর থেকেই বিচারকাজ থেকে বাইরে ছিলেন।
এর আগে নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এক্ষেত্রে বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন।
জানা যায়, সকালে নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবেও কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে একজন মো. আতাউর রহমান খান অবসরে চলে গেছেন। এখন রয়েছেন ১১ জন, তারা হলেন- নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, খিজির হায়াত, শাহেদ নূরউদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)