মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আর্টিকেল নাইনটিন’। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।

সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, আর্টিকেল নাইনটিনের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালের জানুয়ারি হতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আড়াই বছরে ১৭৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৮৯টি মামলা হয়েছে। এই সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৩ জনকে বিনাবিচারে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ধারাবাহিক অবদমন ও নাগরিক অধিকারের ক্রমাগত সংকোচন বিষয়ে আর্টিকেল নাইনটিন উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) তৃতীয় পর্বের সুপারিশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে একটি সমন্বিত ও কার্যকর জাতীয় ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন।

এছাড়া সংস্থাটির জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের চলমান বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে চার বছর আগে বাংলাদেশ সরকারের করা অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি তুলে ধরারও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকার ইউপিআরের আওতায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের ১৭৮ সুপারিশ গ্রহণ করে, যার মধ্যে অন্তত ২৫টি সুপারিশ ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা ও শক্তিশালী করা সম্পর্কিত। নিয়ম অনুযায়ী গৃহীত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে পরবর্তী পাঁচ বছর সময় পাওয়া যায়। সেই হিসেবে, বাংলাদেশ সরকার তৃতীয় পর্যায়ের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের শেষ বছরে রয়েছে। আগামী বছর ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সরকারকে জাতীয় প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং নভেম্বরে পর্যালোচনায় অংশ নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ফারুখ ফয়সাল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর সম্ভাব্য অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ বিষয়ে ইউপিআরে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও সরকার তখন সেটি আমলে নেয়নি। দেরিতে হলেও এই আইনের অপপ্রয়োগ ও অপব্যবহারের কথা স্বীকার করে সরকার বর্তমানে একটি কমিটি করেছে বলে জানানো হয়েছে। সেই কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে সরকার সফররত মানবাধিকার হাইকমিশনারকে জানিয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য এবং আইনটির চিহ্নিত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।

তিনি আরও বলেন, ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু বলে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বলে থাকেন। আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের মানবাধিকারবিষয়ক অঙ্গীকারের মধ্যে অন্যতম। অথচ এ সংক্রান্ত ইউপিআর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকার আদৌ কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি না- তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

সরকারি চাকরিতে চার লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ খালি রয়েছে, যা মোটবিস্তারিত পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেনবিস্তারিত পড়ুন

সরকারি অফিসে পার্টটাইম চাকরি দিতে চাই শিক্ষার্থীদের: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ICT কোচিং সেন্টারবিস্তারিত পড়ুন

  • পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ না করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না : এনবিআর কর্মকর্তাদের অর্থ উপদেষ্টা
  • আবু সাঈদ হত্যা : অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • কাজে যোগ দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
  • ব্যাগে মিলল ম্যাগাজিন, যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
  • ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর অর্ডিন্যান্স’ এর খসড়া অনুমোদন
  • ভুয়া মামলার হয়রানি রোধে নতুন বিধি: আইন উপদেষ্টা
  • আমরা কেউ পূর্বের অবস্থায় ফিরতে চাই না: আলী রীয়াজ
  • ইমাম-খতিবদের সুখবর দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা
  • নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ
  • এনবিআরের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
  • কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা