দুর্নীতির মামলা: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজির জামিন
করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতির মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় আজাদের আবেদনের শুনানি করতে পারেননি। আদালত তাকে পরে অন্য কোনো দিন আসতে বলেন।
লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে এ মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ মামলায় বাকি চার আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।
পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্সের মেয়াদহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে’ রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
পরে মামলার বাদী ফরিদ আহমেদকেই তদন্তের দায়িত্ব দেয় দুদক। দীর্ঘ এক বছর পর এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রতিবেদন দিলে গত ২০ সেপ্টেম্বর তা অনুমোদন দেয় কমিশন।
মামলায় আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে আসামি করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)