মঙ্গলবার, জুন ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দেশের প্রথম ভাষা শহীদ সাতক্ষীরার আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

দেশের প্রথম ভাষা শহীদ সাতক্ষীরার আশাশুনির আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধু সভার আয়োজনে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী।

প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা আ.লীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম হোসেনুজ্জামান হোসেন, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয়, সাধারণ সম্পাদক ও আশাশুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস.কে হাসান, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাংবাদিক আমিনুর রশিদ, হাফিজুর রহমান মাছুম, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, এসএম আকরামুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধু সভার সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৩০ সালে বুধহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। তার বাবার নাম কনুই গাজী ও মা পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন বড়। বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। পরে বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে মেট্রিক পাস করেন। এরপর খুলনার বিএল কলেজে পড়াকালীন সময়ে যোগ দেন ভাষা আন্দোলনে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদীস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের কয়েকদিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেফতার করে। রাখা হয় খুলনার কোতয়ালী থানায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে। সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আনোয়ারকে। সেই গুলিতে নিহত হন আরও ছয়জন।

বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ইতিহাসের পাতায় আনোয়ার হোসেনের নাম থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক বা ভাষা শহীদ হিসেবে কোন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমরা সাতক্ষীরাবাসী দেশের প্রথম এই ভাষা শহীদকে দীর্ঘ ৭২ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জেনে দাবি বাস্তবায়ন করতে স্বোচ্চার হওয়ার আহবান করছি।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য, আশাশুনির সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভোমরার মাদক সম্রাট মাস্টার হালিমের প্রধান সহযোগী ২৫ বোতল কোরেক্সসহ আটক

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের মাদক সম্রাট মাস্টার হালিমের প্রধান সহযোগী শামীম হোসেন (৩৩)বিস্তারিত পড়ুন

ঈদ পরবর্তী সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা: ঈদ পরবর্তী যাত্রা নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরার বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

ভোমরা এলাকায় মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবিকে অভিনন্দন

মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা: ভোমরা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাবিস্তারিত পড়ুন

  • ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের ঈদ পূর্ণমিলনী উৎযাপন
  • ঈদ পরবর্তী বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা : বিআরটিএ
  • সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
  • ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট শুরু
  • ঈদুল আযহা ত্যাগ-উৎসর্গের অঙ্গীকার ও পশুত্বের কোরবানি
  • ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ানুষ্ঠান
  • সাতক্ষীরায় ট্রেন লাইন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
  • সাতক্ষীরায় নিরাপদ সড়ক চাই এর উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • ডা. কামরুন্নাহার শিউলিকে ইসলামী হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা
  • সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স, ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী