নড়াইলে এক লম্পটের ফাঁদে পড়ে স্বামীকে তালাক দিলেন এক সন্তানের জননী!
নড়াইলে এক লম্পট এর ফাঁদে পা দিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা হলেন এক সন্তানের জননী। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রমনীনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লার পুত্র রুহুল আমিন মোল্ল্যা (৩৫) এর ফাঁদে পা রেখে স্বামী সংসার ছাড়লেন এক সন্তানের মা।
থানার অভিযোগের বিবরণ ও এই মহিলা খানম (২৫) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি নড়াইল সদর চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে। তার বাবার নাম শহীদ শেখ, থানা জেলা নড়াইল সদর। অভিযোগকারী মহিলা খানম বলেন, রুহুল আমিনের সাথে আত্মীয়তা হিসেবে পরিচয় শুরু হয় এক বছর আগে। তখন থেকে রুহুল আমিন আমার মোবাইল নাম্বারটা কারো কাছ থেকে নিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় ফোন করতো এবং বিভিন্ন কথা বলতো। আমি তখন তাকে আমার ফোনে ফোন দিতে নিষেধ করি ও বলি আমার স্বামী সন্তানের কথা। সে আমার কোন কথা কর্ণপাত করে না। এক পর্যায়ে তার সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন সে আমাকে নিয়ে সংসার করবে বলে আশা দেন। আমি তার কাছে তার বউ বাচ্চা আছে নাকি জানতে চাই রুহুল আমিন বলে যে, বউ আরেক লোকের সাথে চলে গেছে আর বাচ্চাদের তার ভাইদের বাড়ি রেখে গেছে। তখন রুহুল আমিন আমাকে অনেক ধরনের আশা দেন ও বলেন তোমাকে নিয়ে আমি অনেক দুরে চলে যাব, তোমাকে অনেক সুখে রাখবো। এর মাঝে রুহুল অামিন আমাকে বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে নিয়ে যায় ও কোরআন শরিফে হাত রেখে বলে তোমাকে বিয়ে করবো। সেই সময় রুহুল আমিন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক যৌন নির্যাতন করে। এরপর থেকে বিয়ে করবে বলে রুহুল আমিন আমাকে অনেক দিন ঘুরাতে থাকে। এর কিছু দিন পরে রুহুল আমাকে ফোন দিয়ে কিছু টাকা লাগবে বলে জানাই। আমি তখন আমার কাছে থাকা বিশ হাজার টাকা রুহুল আমিন কে দিই। আর বলি বিয়ে কবে করবা। তখন বলে কয়দিন পরে। সেই কথা গুলো তখন আমার মোবাইলে রেকডিং করে রাখি। তখন রুহুল আমিন আমাকে বলে আর কিছু দিন পরে নড়াইলের চাকুরী ছেড়ে দেবো, পরে বিয়ে করবো।এর ১৫ দিন পর রুহুল আমার কাছে আবার টাকা চাইলে আমার সোনা গহনা সব বন্ধক রেখে নগদ মোট তিন বারে ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা দেয়। এই টাকা নেওয়া হলে এর কিছু দিন পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। একদিন সে আমার মোবাইলের ইমোতে আমাকে মেসেজ পাঠাই যে তাকে পেতে হলে আরো চার লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিতে পারলে তার আশা ছেড়ে দিতে।আমি কান্নাকাটি করলে সে গালিগালাজ করে। এর কিছু দিন পরে রুহুল আমিন আমাকে বলে যে, আমার স্বামী কে তালাক দিতে। তাহলে সে আমাকে বিয়ে করবে। তখন আমি বাধ্য হয়ে আমার স্বামী কে ১৫/৭/২০২০ তারিখ তালাক দেই। কিন্তু রুহুল আমিন আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ও নানান ধরনের হুমকি দেয়। তখন আমি লোহাগড়া থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটা নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)