নানা রোগের ওষুধ লুকিয়ে আছে যে পাতায়


যদি সারা বছর সুস্থ থাকতে চান তবে প্রতিদিন একটি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই একটি অভ্যাস আপনার জীবনকে পাল্টে দেবে। আপনি হবেন নীরোগ আর সুস্থ দেহের অধিকারী। কী সেই পাতা!
শাকসবজি বা মসলা হিসেবে আমরা অনেক ধরনেরই পাতাই খেয়ে থাকি। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পাতার নাম হলো কারিপাতা।
এই পাতা ঝোলজাতীয় খাবারে বেশি ব্যবহার হওয়ায় একে আমরা সবাই কারি পাতা নামেই চিনি।
সঠিকভাবে কারিপাতা চিনতে অনেকেই ভুল করেন। তাদের জন্য বলছি কারিপাতাকে অনেকেই মিঠা নিম বা বারসুঙ্গা বলে থাকে। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় প্রাপ্ত এই কারিপাতা গন্ধের জন্য বিখ্যাত।
কারিপাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই।
বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে এই ভেষজ ওষুধটি প্রাচীনকাল থেকেই সমাদৃত হয়ে আসছে। এই পাতায় থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই পাতা বিশেষ উপকারী। অ্যানিমিয়া নিয়ন্ত্রণে, মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে, চুলের ঘনত্ব বাড়াতে, খুশকি দূর করতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই পাতা দারুণ কার্যকর।
এ ছাড়া বমিভাব, আমাশয়, প্রসাবের সমস্যা, অশ্বের রক্ত পড়া বন্ধে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। যে কোনো পোকামাকড়ের কামড়ে এই পাতা বাটার প্রলেপ ত্বকের ফুলে ওঠা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
দ্রুত খাবার হজম করতে, পাকস্থলীকে ভালো রাখতে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন এই পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
জাপানি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে কারিপাতা ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কারিপাতায় উপস্থিত ফেনলস, কার্বেজল অ্যালকালোয়েড নামক উপাদান লিউকোমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
