নড়াইলের কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের বেহাল দশা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটির বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনটির দেয়াল ও পিলারে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা।
ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ও সেবাগ্রহীতারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৮ সালে ৩১ শয্যার বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপিত হয় ৫ একর জমির উপর। প্রতিষ্ঠাকালে নির্মিত হয় দ্বিতল মূল ভবনটি। পরবর্তীতে ২০০৯ একটিকে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। পুরাতন এই ভবনটি মেরামতও করা হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রায় ২-৩ বছর আগে ভবনের নিচ তলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর যশোরের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একধিকবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির মূল ভবনের নিচ তলার বিভিন্ন স্থানের কয়েকটি পিলার ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। কয়েক জায়গায় ছাদের পলেস্তারার অংশ খসে পড়ে বেরিয়ে পড়েছে রড। ফাটলগুলো সম্প্রতি বড় আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে আরও নতুন ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সজুড়েই দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে রোগীর ওয়ার্ডগুলোকে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে।
হুমায়ুন মোল্যা নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবন বাঁচাতে এক প্রকার দায় পড়েই জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষকে। সমস্যাটির দ্রুত সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালের ভবনটি দীর্ঘদিন আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক আগেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারিরাসহ রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোশ কর্মকার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)