বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বগুড়ার শিবগঞ্জে সতীনের প্রচারণায় দুই সতীন

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মাজেদা বেগম। তার জয়ের জন্য দুই সতীন দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তিন সতিন একই সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় বিষয়টি ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েকজন ভোটার বলেছেন, বর্তমান সময়ে যখন সতীনদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না, তখন এক সতীনের জয়ের জন্য আরও দুই সতীন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোট চাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টান্ত।

মাজেদা বেগমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ তার স্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। যে কোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয় সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগমই হবেন সেই প্রার্থী। এরপর সিদ্ধান্ত হয় জয়ী হতে তিন সতীন এক সঙ্গে ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন।

সিদ্ধান্ত মোতাবেকই কাজ এগোচ্ছে।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতীন মিনু বেগম, রেনু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আব্দুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত জয়ের আশায় ওয়ার্ডের এ-বাড়ি থেকে ও-বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার ফজলুর রহমান (৪৫) বলেন, সতিন মানেই যে খারাপ কিছু নয়, তা আব্দুস সামাদের স্ত্রীরা প্রমাণ করেছেন। তাদের এই তিন সতীনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী। মিনু বেগম বলেন, আমাদের আলাদা হাঁড়ি। কিন্তু সবাই আপন বোনের মতো ।

শুধু ভোট নয়, সকল সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াই। মাজেদা বেগম বলেন, সতীন মানেই মনে করা হয় শত্রু, কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতীনরা আমার কাছে বোনের মত, অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবো।

আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্ত্রীদের নিয়ে আমি খুশি। তারা সব সমস্যাকে মিলেমিশে মানিয়ে নিতে পারে। আর তাদের এই মধুর সম্পর্কের কথা ভোটারেরা জানতে পেরে সকলেই অনেক খুশি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তবে এতে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। মাজেদা বেগম বর্তমানেও ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। গতবারেও একইভাবে প্রচারণা চালিয়ে তারা ভোটারদের মন জয় করেছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট হয়ে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

অবশেষে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলের পয়েন্ট নির্ধারণ হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়ারছরা বিআইডব্লিউটিএ ঘাটবিস্তারিত পড়ুন

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি

নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়ারবিস্তারিত পড়ুন

শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে তারেক রহমান

শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্তবিস্তারিত পড়ুন

  • সংখ্যালঘুদের দাবির প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : উপদেষ্টা নাহিদ
  • প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলবে না: ডিএমপি কমিশনার
  • আইনজীবী হত্যায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুজনসহ অংশ নেয় ১৫ জন
  • ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি করছে ইসকন: হাসনাত
  • দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহর
  • বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
  • চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ সমাবেশ
  • সাতক্ষীরার দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলফা কারাগারে
  • তিন মাস না যেতেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
  • ৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় খালেদা জিয়া