বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ভারত ইস্যু’ হঠাৎ সরগরম কেন?

বাংলাদেশে রাজনীতিতে ‘ভারত ইস্যু’ ইদানীং বেশ জমে উঠেছে।বিশেষ করে বিরোধী দল বিএনপি ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে রীতিমত রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক চলছে। ভারত নিয়ে প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমেও।

পাশাপাশি নির্বাচনের পর থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-বিরোধী কয়েকটি দলের তৎপরতায় শুরু হওয়া কথিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ক্যাম্পেইন, সেটিও সামাজিক মাধ্যমে আরও ডালপালা মেলেছে।

আবার ভারত বিরোধী এই প্রচারণা নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে অনেকে একে ‘ট্র্যাডিশনাল ভারত বিরোধী রাজনীতি’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের দাম বাড়ানো’।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সব ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা কখনও ঠিক রাখা যাবে?

এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আবার বলেছেন ভারত নিয়ে ‘জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেই’ এটি রাজনৈতিক আলোচনায় এসেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন আসলেই ভারত কোনো রাখঢাক না করেই সক্রিয় হয় বলেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি বা বঞ্চিত হয়েছে। সে বঞ্চনা থেকেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ কমানোর কাজ তো বিএনপির না।

ভারত নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণ সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, বিএনপি বা সমমনা দল বা দলের নেতারা কেউ কেউ যখন ভারতীয় পণ্য বর্জন বা ভারত বিরোধিতাকে মাঠে নিয়ে আসেন তখন রাজনৈতিক কারণেই আওয়ামী লীগ তার কাউন্টার দিয়ে ভারতের ভূমিকার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে চাইছে।

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির রাজনীতিতে ভারত বিরোধিতার ইতিহাস নতুন নয়। তবে বিগত দশ-পনেরো বছরে দলটির মধ্যে একটি অংশ বিভিন্ন সময়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টাও করেছে।

আবার কখনো দলের মধ্যেই ভারত বিরোধী গ্রুপ শক্তিশালী হয়ে সে চেষ্টাকে ব্যাহতও করেছে ।

২০১৩ সালে ভারতের তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ঢাকা সফর কালে সে সময়কার বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ বাতিলের সিদ্ধান্তকে তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে।

পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় হোটেলে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন খালেদা জিয়া।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিএনপির বর্জন সত্ত্বেও এবং সে নির্বাচনের আগে ভারতীয় কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ দেখেও বিএনপি এ নিয়ে তখন খুব একটা উচ্চবাচ্য করেনি।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপিকে ভারত ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায়। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের চুক্তি সম্পাদনের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছিল বিএনপি।

সর্বশেষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে বাংলাদেশে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল সেটিও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দিল্লির দূরত্ব বাড়িয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই ভারতের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিল বিএনপি।

দলটির নেতারা মনে করেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর যে চাপ তৈরি করেছিল সেটি ভেস্তে গেছে মূলত ভারতের অনড় ভূমিকার কারণে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন আসলেই ভারতীয় নেতারা সক্রিয় হন। চারটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি বলেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জনমনে। জনগণের আন্দোলন থামানো তো বিএনপির কাজ না।

নির্বাচনের কিছু দিন পরেই ভারতকে প্রত্যাখ্যানের আওয়াজ তোলেন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণ অধিকার পরিষদের নেতা তথা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

এরপরেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হয় এবং একটা পর্যায়ে গত ২১ মার্চ বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজেও এই আন্দোলনে সংহতি জানান।

এরপরে প্রতিক্রিয়া আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেন রাজনৈতিক কোনও ইস্যু না পেয়ে বিএনপি ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত সবসময় গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমান বাস্তবতাতেও তাদের ভূমিকা আছে। ফলে বিএনপি বা তাদের সমমনা কেউ যখন ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয় কিংবা ভারত বিরোধিতা করে কথা বলতে থাকে তখন রাজনৈতিক কারণেই আওয়ামী লীগকে তার কাউন্টার বা পাল্টা জবাব দিতে হয়।

তার মতে, দল দুটির রাজনীতিতেও ভারতের প্রভাব আছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি মানুষের সেন্টিমেন্টকে উস্কে দিচ্ছে সে কারণে আওয়ামী লীগকে তার যে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক আছে, সে জায়গা থেকে কথা বলতে হচ্ছে। বিএনপি চায় মানুষকে উস্কে দিয়ে ভারত বিরোধিতার নামে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করতে। সে কারণেই আওয়ামী লীগের দিক থেকেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

জোবাইদা নাসরীন অবশ্য মনে করেন সামনে যেহেতু ভারতের নির্বাচন, বিরোধী দলগুলোর ভারত-বিরোধিতায় জোর দেওয়ার সেটিও একটি কারণ হতে পারে।

ভারতের নির্বাচনে বাংলাদেশের সেই অর্থে প্রভাব নেই। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বাতচিতও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। কিন্তু বিএনপির মধ্যে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাই ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে মোদি বিরোধী মনোভাব আরও উস্কে দেয়ার সুযোগটা হয়তো বিরোধীরা নিতে চাইছে। এসব কারণে ভারত ইস্যু রাজনীতির মাঠে সামনে চলে এসেছে।

এদিকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই ‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ নামে ফেসবুক গ্রুপ খুলে ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন এই প্রচারণার সমর্থকদের একটি অংশ। সেখানে নানা পোস্টে মতামত দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

সেখানেই ইরফান আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, দেশি পণ্য ক্রয় করে নিয়ে আসলাম। আমি আমার জায়গা থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছি।ৎ

আবার আহমেদ ইমরান নামে আরেকজন লিখেছেন, মানুষ কই ঘুরবে, কই খাবে, কই চিকিৎসা নিবে এইটা নিয়েও এত যন্ত্রণা? পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দেশ ভারত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে খুব অল্প খরচেই সেখানে ভ্রমণ করতে পারি। মানুষের সব কিছুতে নাক গলানো বাদ দেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মামলার সাজা: আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে সঞ্জয়কে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বহুল সমালোচিত আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিভিকবিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন

মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল (যশোর): বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফের সেক্টরবিস্তারিত পড়ুন

ভিসা জটিলতায় ফাঁকা বেনাপোল ও ভোমরা ইমিগ্রেশন!

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেনাপোল-পেট্টাপোল ও ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেবিস্তারিত পড়ুন

  • মিথিলাকে নিয়ে গুঞ্জনের মাঝেই প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের পোস্ট
  • সাতক্ষীরা সীমান্তের বিপরীতে বিএসএফের ফাঁকা গুলি
  • বাংলাদেশকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বললেন ভারতের সেনাপ্রধান
  • ‘বাংলাদেশে কিছুই নেই, পুরো দেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল’: শুভেন্দুর কটাক্ষ
  • এবার বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব করলো ভারত
  • বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠক
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফের বাঁধা, বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
  • ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নেই কোনো সতর্কতা
  • ‘অতিথি নারায়ণ’—নীতিতে ভারতে ভিসার মেয়াদ বাড়লো হাসিনার!
  • শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ালো নয়াদিল্লি
  • চীনের ঘোষণা নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি, বিজেপি-কংগ্রেস বাদানুবাদ
  • মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানাতে চান : ভারতীয় মন্ত্রীর দাবি