‘বিচার চাইতে এসে যেন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয়’


বিচার চাইতে এসে আদালতের বারান্দায় যেন বিচারপ্রার্থীকে বছরের পর বছর ঘুরতে না হয়, সেজন্য বিচারপতিদের নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এদিকে, মামলাজট কমাতে আরও বেশি বিচারক নিয়োগ দিতে হবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সুপ্রিমকোর্ট দিবসের অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের মধ্য দিয়ে সুপ্রিমকোর্ট জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেছে।
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আর গণমানুষের বিচারের অধিকার নিশ্চিতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট। আর ২০১৭ থেকে টানা চতুর্থবারে মতো পালিত হয়েছে সুপ্রিমকোর্ট দিবস। তবে করোনা মহামারির কারণে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সীমিত আকারে ও ভাচুর্য়াল প্ল্যাটফর্মে দিবসটি পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন, গেল ৪৮ বছর জাতির ক্রান্তিলগ্নে সংবিধান রক্ষা ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে সুপ্রিমকোর্ট। বন্দুকের নল কিংবা যে কোনো বাধা অতিক্রম করে বিচারপতিরা তাদের কাজ করে যাওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এসময় বিচার চাইতে এসে বিচারপ্রার্থী মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে বিচারপতিদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি জানান, সব বিচারকের খেয়াল রাখতে হবে, বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘোরাঘুরি করতে না হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনগণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আর দেশের আদালতগুলোতে বিচারক সংকটের কথা তুলে ধরেন অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি জানান, জনসংখ্যার তুলনায় বিচারক সংকটের কারণে মামলা শেষ করতে বিলম্ব হওয়ায় সুবিচারের অন্তরায় হয়।
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সুপ্রিমকোর্টের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী বিচারের ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের অবদান ভুলবার নয়।
সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনী বাতিলসহ যুগান্তকারী সব রায় দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
