বিশ্ব পরিবেশ দিসব উপলক্ষে সাতক্ষীরায় কর্মসূচি পালন
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডবলুজিইডি) উপকূলীয় জীবন যাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং স্বদেশের আয়োজ্ধেসঢ়;ন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার অনষ্টত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যে পর্যায়ে সীমিত রাখা দরকার, বর্তমানে বিশ্ব তার চেয়ে ১২০ শতাংশ বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পথে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না-হলে জলবায়ুতে যে পরিবর্তন আসবে, তা ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ এমনিতেই বিশ্ব পরিবেশ দূষণের অন্যতম শিকার। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও ব্যবহার। জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ তেল, গ্যাস ও কয়লা ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন- ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের বিশাল এলাকা আজ সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত জ্বালানি তেল ব্যবহার, পরিবেশকে আরো দূষিত করতে পারে।
তারা দাবি করেন পরিবেশ, জীবন-জীবিকা ও শ্রম-অধিকার এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও সমতা ভিত্তিক জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে;
●পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য প্রতারণামলূক বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে;
●দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমদ্ধিৃ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
এছাড়া স্থানীয় পরিবেশ ও জীবন-জীবিকার ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব সষ্টিৃ করছে। বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রী পরিষদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথনকশা অনমুমোদন করেছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশও ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়ন যোগ জ্বালানি নিশ্চিত করবে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও নীতিগত সহায়তা দরকার। এ অবস্থায়, আমরা দাবি জানাচ্ছি যে, সরকারকে অবশ্যই : ক) পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ও অন্যান্য প্রতারণামলূক বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে ; খ) দ্রুততম সময়ে মুজিব জলবায়ু সমদ্ধিৃ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে হবে ; এবং গ) পরিবেশ, জীবন-জীবিকা ও শ্রম-অধিকার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও সমতা ভিত্তিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
প্রচারাভিযান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, উন্নয়নকর্মী মাহিদা মিজান, সাংবাদিক ফারুক রহমান, যুব অধিকারকর্মী জয় সরদার, দেবজ্যোতি ঘোষ নয়ন, শয়লা আফরিন প্রমুখ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)