বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অনশন, দিচ্ছে আত্মহত্যার হুমকি
মণিরামপুরে বিয়ের দাবিতে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। বুধবার সকাল থেকে তিনি ওই বাড়ির প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান করছেন।
গৃহবধূ উপজেলার মাঝ লাউড়ি গ্রামের এক মুরগি বিক্রেতার স্ত্রী। একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবর রহমানের ছেলে রাসেল আহমেদের সাথে ৩ বছরের পরকীয়ার সূত্র ধরে তিনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছেন।
এখবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলে জানাগেছে।
এদিকে- প্রেমিক রাসেল বিয়ে না করা পর্যন্ত ওই বাড়িতে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
গৃহবধূ বলেন- আমার স্বামী ও ৭ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। রাসেল ৩ বছর ধরে আমার সাথে সম্পর্ক করেছে। এক বছর ধরে আমার সাথে অন্তরঙ্গভাবে মিশেছে সে। ৩ দিন আগে রাসেল আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর এক বান্ধবীর বাসায় আমাকে রেখে বাড়ি চলে আসে সে। এরপর আর যোগাযোগ না করায় বুধবার (১৯ অক্টোবর-২০২২) সকালে আমি রাসেলের বাড়ি এসে উঠেছি।
গৃহবধূর বলেন- বিষয়টি রাসেলের পরিবার জানেন। তাঁর বাবা মুজিবর মেম্বর আমার বাবার সাথে কথা বলে ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিতে চেয়েছেন। এখন আমি আসার পর তাঁরা রাসেলকে সরিয়ে রেখে বাড়ির দরজা ভিতর থেকে আটকে দিয়েছে। একবার আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিলাম। পরে রাসেলের মা বোনেরা আমাকে মেরে টেনেহেঁচড়ে বের করে দিয়েছে। গৃহবধূ বলেন- বাবার বাড়ি আমাকে জায়গা দিচ্ছে না। স্বামীর ঘরেও ফেরা সম্ভব না। হয় রাসেল আমাকে বিয়ে করবে আর না হয় আমি এখানে আত্মহত্যা করব।
স্থানীয়রা জানান- গৃহবধূর স্বামী মণিরামপুর বাজারে মুরগি বিক্রি করেন। নিয়মিত সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে ফেরেন তিনি। এ সুযোগে রাসেল গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় জড়ায়।
রাসেলের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান বলেন- ৩দিন আগে ঘটনা টের পাইছি। মেয়ের বাবার সাথে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর-২০২২) কথা হয়েছে। এরমধ্যে বুধবার সকালে মেয়ে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
মুজিবর রহমান আরো বলেন- সকাল থেকে ছেলে বাড়ি নেই। কি করা যায় দেখছি।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন- ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। আমি পুলিশকে বলেছি বিষয়টি মিমাংশা করে দিতে। কোন পক্ষ আমার কাছে আসেনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)