ভারতে পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশিদের থাকার নতুন নিয়ম


বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে ভারতে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্য কোনো ভ্রমণ নথি ছাড়াই সেখানে থাকতে পারবেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা ব্যক্তিরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ এর আওতায় ওই সংখ্যালঘুরা কোনো ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবেন না বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যে সদস্যরা পাসপোর্ট কিংবা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা সেখানে অবস্থানের অনুমতি পাবেন। এমনকি যাদের নথির মেয়াদ দেশটিতে প্রবেশের পর শেষ হয়ে গেছে, সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স (এক্সেম্পশন) আদেশ ২০২৫ অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকদের পাশাপাশি তিব্বতিরা, যারা ১৯৫৯ থেকে ২০০৩ সালের ৩০ মের মধ্যে কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক জারি করা বিশেষ প্রবেশ অনুমতিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট বিদেশি নিবন্ধন কর্মকর্তার কাছে নিবন্ধন করেছিলেন, তাদেরও একই ধরনের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তবে নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরা যদি চীন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান হয়ে ভারতে প্রবেশ কিংবা প্রস্থান করেন, তাহলে তারা আইনের ২১ নম্বর ধারার সুবিধা পাবেন না। এই ধারা অনুযায়ী, বৈধ পাসপোর্ট অথবা ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে। ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারতে থেকে গেলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩ লাখ রুপি জরিমানা হতে পারে।
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো দেশের তিন বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া করলেও তাদের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। এছাড়া বিদেশি কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
এই আদেশের পর ২০১৪ সালের পর ভারতে প্রবেশ করা অনেক মানুষ স্বস্তি পাবেন, যাদের এতদিন বৈধ পরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।
এর আগে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হয়েছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

আমরা ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়েবিস্তারিত পড়ুন

‘মোদি চোর, বিজেপি চোর’, বিধানসভায় তীব্র সমালোচনা মমতার
ভারতে বাঙালিদের হেনস্থা নিয়ে সোচ্চার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনেবিস্তারিত পড়ুন

দু’দেশের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্য কমেছে বেনাপোল বন্দরে, সংকটে ব্যবসায়ীরা
মোঃ ওসমান গনি: বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণেবিস্তারিত পড়ুন