শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মণিরামপুরে কলেজ ছাত্র একরামুল হত্যায় আটক দু’ভাইয়ের স্বীকারোক্তি

যশোরের মণিরামপুরে কলেজ ছাত্র একরামুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আটক দু’ ভাই।

শুক্রবার (০১ এপ্রিল-২০২২) তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের হোসেন মোড়লের ছেলে আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম পলাশ জানান- আটক কামরুলের স্ত্রী হীরা খাতুনের সাথে কলেজ ছাত্র একরামুলের পরকীয়া ছিলো। কামরুল কুয়েত প্রবাসী। পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। বাড়িতে আসার পর তিনি স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পারেন। কামরুলের ভাই আমিনুরও ভাবির সাথে একরামুলের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি পরিবারের মানসম্মান রক্ষার্থে গোপনে একরামুলের সাথে দেখা করে এ পথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন একরামুল উল্টো আমিনুরকে হুমকি দেন। তাদের সম্পর্কের ধারণকৃত ভিডিও তার মোবাইল ফোনে আছে বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমিনুরকে নিষেধ করেন একরামুল। ফলে, কোনো উপায় না পেয়ে একরামুলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ওই আপত্তিকর ভিডিও ডিলিট করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন আমিনুর। ঘটনার দিন গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আমিনুর তার ভাইপো মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পারেন, একরামুল নোয়ালী গ্রামের কাড়াখালি ব্রিজের ওপর অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়ে তিনি গোপনে সেখানে গিয়ে তাকে দেখতে পান। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন এবং একটি বৈদ্যুতিক তার নিয়ে ফের সেখানে যান। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে একরামুলের কাছে থাকা মোবাইল ফোনসেট দিতে বলেন আমিনুর।

বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচানোর কারণে শ্বাসরোধে মারা যান একরামুল। তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ায় ভয় পেয়ে যান আমিনুর। পরে লাশটি ব্রিজের পাশে রেখে বাড়িতে চলে আসেন তিনি এবং সকল ঘটনা ভাই কামরুলকে জানান। এ কথা শুনে কামরুল ভয় পেয়ে তাকে প্রচণ্ড বকাঝকা করেন। পরে দু’ সহোদর ঘটনাস্থলে যান এবং লাশ বস্তাবন্দি করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে পাশের মদনপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।

তিনি আরও জানান- ঘটনার সাথে জড়িত দুই ভাই ও তাদের ভাইপো মেহেদীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আমিনুর ও কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

উল্লেখ্য- নিহত একরামুল ভরতপুর গ্রামের মফিজুর মোল্লার ছেলে। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একরামুলের মা রেশমা খাতুন ৩০ মার্চ মণিরামপুর থানায় একটি জিডি করেন। এই জিডির সূত্র ধরে পিবিআই কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদীকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মদনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা একরামুলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মনিরামপুর মহাসড়কে পথচারীদের জন্য শ্যামল ছায়া পরিবেশ

হেলাল উদ্দিন: নিজস্ব অর্থায়নে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের দু’ধারে ফলজ, বনজ এবং ঔষাধি প্রজাতিরবিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোল বন্দরে সাইবেরিয়ার ভিসা লাগানো ২০টি বাংলাদেশী পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাক চালক আটক

মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল (যশোর) : ভারত থেকে ট্রাক ড্রাইভারের মাধ্যেমে আসাবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়
  • জুলাই বিপ্লব উদযাপনে যবিপ্রবিতে র‌্যালি
  • যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহ*ত ৩
  • এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার: কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে
  • মনিরামপুরে মাটিচাপা দেয়া ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
  • ভারতে যাওয়ার সময় নেত্রকোনার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেনাপোলে আটক
  • বেনাপোলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলের সন্ধান চান অসহায় পিতা
  • বেনাপোলে শুল্কফাঁকির চেষ্টায় দুই কোটি টাকার পণ্য চালান আটক
  • বেনাপোলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • যশোরে ৫টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আট*ক
  • সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে যশোরের শার্শার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জহির
  • মনিরামপুরে উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা