শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মনিরামপুরে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, দিশেহারা খামারি ও দরিদ্র কৃষক

পশ্চিম মণিরামপুরের রাজগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ। এই রোগে রাজগঞ্জের ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, মশ্বিমনগর, খেদাপাড়া, হরিহরনগর ও রোহিতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠা খামারে ও বাড়িতে থাকা কৃষকের প্রায় দুই/আড়াই হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারি ও কৃষকরা। তবে এখনো পর্যন্ত এ রোগে কোনো গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

রাজগঞ্জ এলাকায় গরু মোটা তাজাকরণের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক গরুর খামার। এছাড়াও এ এলাকার প্রায় সকল দরিদ্র কৃষক লাভের আশায় সঞ্চায় হিসেবে তাদের বাড়িতে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করে থাকে। কিন্তু প্রায় বাড়িতে থাকা গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত সরকারি ভাবে ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর গ্রামের গরুর খামারি শাহিন হোসেন জানান- তার খামারে সব মিলিয়ে ৪৪টি গরু রয়েছে, সবগুলো গরুই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরো জানান- প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের সহায়তা মেলেনি।

রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার প্রায়ই বাড়িতে পোষা গরুর এই রোগ দেখা দিয়েছে। ধীরে ধীরে এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে।

দেখা গেছে- অনেকেই এই রোগ থেকে তাদের সন্তানের মতো আদরের গরুগুলোকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘরে চুন, পটাশ পানির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই কবিরাজের কাজ থেকে তদবির নিয়ে গোয়াল ঘরে রাখছেন।

হঠাৎ করে এই রোগ দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার খামারি ও দরিদ্র কৃষকেরা। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না কৃষকরা, এমন অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করেছন ঝাঁপা ইউনিয়ন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন- আমরা যতো সম্ভাব চেষ্টা করে যাচ্ছি কৃষকের পোষা গরুর চিকিৎসা সহযোগিতা করার জন্য।

এদিকে, ক্ষুরা রোগের চিকিৎসায় ব্যায় বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খামারি ও দরিদ্র কৃষকরা। পল্লী প্রাণী চিকিৎসকরাই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরুগুলোর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

পল্লী প্রাণী চিকিংসক মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান- আবহাওয়া জনিত কারণে গরুর এই রোগ হয়।

রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জান বলেন, ক্ষুরা রোগের জন্য সরকারিভাবে এখন ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। কৃষক যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তখন আমরা আক্রান্ত পশুগুলোর চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ভ্যাকসিন আসলে আমরা আক্রান্ত গরুগুলোগুকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবো।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার কথিত সাংবাদিক সোহাগ

বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সোহাগ হোসেন নামে একবিস্তারিত পড়ুন

তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে মে মাসে, সর্বোচ্চ হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি

প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ চড়াওবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি, রাস্তার পিচ গলছে

যশোরে টানা তাপদাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়াবিস্তারিত পড়ুন

  • খরতাপে পুড়ছে মনিরামপুর
  • দীর্ঘ ৫ দিন ছুটি শেষে যশোরের বেনাপোল বন্দরে কর্মব্যস্ততা
  • যশোরের শার্শায় বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত
  • ঝিকরগাছায় সেবা সংগঠনের মাধ্যমে চারশতাধিক ব্যক্তির মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
  • সমাজের বিত্তবানদের মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান
  • কেশবপুরে ভোরের সাথী ও উপজেলা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • যশোরের রাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পর্শ্বে বৃদ্ধর মৃত্যু
  • শার্শা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • শার্শায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • শার্শায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিতে বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
  • বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত