যে চার্চে বাইবেল সরিয়ে পড়ানো হয় ম্যারাডোনার আত্মজীবনী


না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়োগো ম্যারাডোনা।
বুধবার ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান।
জীবন্ত ম্যারাডোনাকে আর্জেন্টাইনরা মনে-প্রাণে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন।
আর্জেন্টাইনদের মনে ম্যারাডোনার অবস্থানটি কোন স্থানে, তার এ ব্যতিক্রম উদাহরণ হচ্ছে ম্যারাডোনাইয়ান চার্চ।
চার্চটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে ম্যারাডোনার ৩৮তম জন্মদিনে।
এই চার্চটি আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রোজারিওতে। এখানে ভক্তরা ১০ নম্বর জার্সি পরে। বাইবেলকে সরিয়ে পড়ানো হয় ম্যারাডোনার আত্মজীবনী।
সারা বিশ্বে দুই লাখ ভক্তসংখ্যা এই চার্চের।
চার্চের ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার আলেজান্দ্রো ভেরন। তিনি তার স্মৃতিচারণে বলেন, একবার ২৯ অক্টোবর মাঝরাতে একটা ফোন পান ভেরন। ট্রাস্টি বোর্ডের এক সদস্যই তাকে ফোন করে বলেন, ‘মেরি এক্স-মাস’।
ভেরন বলেন, ‘মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি তোমার? আজ তো সবে ৩০ অক্টোবরে পড়লাম। ’
ফোনকারী অবিচলিত, ‘ঠিক তাই। আমাদের যিশু তো ৩০ অক্টোবরই জন্মেছেন। ’ এ থেকেই অনুমান করা যায় আর্জেন্টিনার জনমনে কেমন ছিল ম্যারাডোনার অবস্থান।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ হজম করতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা গোলকিপার শিলটনকে।
ওই ম্যাচে ম্যারাডোনার দ্বিতীয় গোলটি ক্লাসিক। আর্জেন্টাইন গ্রেটের জোড়া গোলে ইংল্যান্ড হেরে ছিটকে পড়েছিল বিশ্বকাপ থেকে।
ম্যারাডোনার ভাষায়, প্রথম গোলটিকে আমি ‘ঈশ্বরের হাত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলাম। কেন করেছিলাম তার ব্যাখ্যায় যাচ্ছি। ব্যাখ্যাটা খুবই সরল। ঈশ্বরই তো আমাদের হাত দিয়েছেন। আর আমি ঈশ্বর-প্রদত্ত ওই হাত ব্যবহার করেই গোলটা করেছিলাম। ওটা ঈশ্বরের হাতের গোল নয় তো কী!’
তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ, ইসেনসিয়ালি স্পোর্টস

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
