রাজগঞ্জে একমাত্র পত্রিকা পরিবেশক ‘জালাল মামা’ হিমশিম খাচ্ছে জীবন চালাতে


জালাল মামা (মো. জালাল উদ্দিন)। সে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের ছোট ছোট বাজারগুলোতে পত্রিকা বিক্রি করেন। জালাল উদ্দিন দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি যাবৎ এ কাজের সাথে রয়েছেন। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, বাদল, উপেক্ষা করে প্রতিদিন বাইসাইকেলে চড়ে রাজগঞ্জ এলাকার পত্রিকা পাঠকদের হাতে পত্রিকা পৌছে দেন।
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল উদ্দিন। এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি। তিনি ডিগ্রী পাশ করে চাকরীর আশায় আশায় ঘুরে, চাকরী না পেয়ে এপেশা বেছে নেন।
প্রতিদিন সকাল ৭টায় রাজগঞ্জ বাস স্টান্ডে এসে যশোর থেকে আসা পত্রিকাগুলো নামিয়ে ভাজ করে সাইকেলে করে পাঠকদের ঘরে পৌছে দেওয়ার কাজে বের হন। এরপর সকাল ১০টার মধ্যে জাতীয় পত্রিকাগুলো আসলে, সেগুলোও বিলি করেন সময়মত।
জালাল মামা রাজগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পত্রিকা সরবরাহ করেন। পত্রিকা সরবরাহ শেষে চলে যান বাড়িতে। এভাবেই চলছে রাজগঞ্জের একমাত্র পত্রিকা সরবরাহকারি জালালের জীবন। বর্তমানের দ্রব্যমূল্যর উর্দ্ধগতির বাজারে এই অল্প আয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে পত্রিকা সরবরাহকারি জালাল মামা।
কথা হয় মো. জালাল উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন- লেখাপড়া শিখে চাকরী হয়নি। তাই পেশা হিসেবে পত্রিকা বিক্রির কাজ বেছে নিয়েছি। অল্পপুজির এই ব্যবসাটা ভালো। প্রতিদিন নতুন নতুন খবর পড়া, দেশ-বিদেশের খবর জানা, খুব ভালো লাগে এই পেশা। তবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হিমশিম খাচ্ছি। ব্যয় বেড়েছে, আয় বাড়েনি। একই ধারায় চলছে জীবন। মাঝে মাঝে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখি। কিকরবো, তবুও আছি এই পেশার সাথে। তিনি বলেন- যতদিন পারবো, চালিয়ে যাবো এই পেশা।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
