ষষ্ঠ ধাপের (ইউপি) নির্বাচনের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন
সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের ২১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংশ্লিষ্ট জেলার সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। এতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচনী যে কোনো অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ২১৮টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের আদেশে দুটি স্থগিত রাখা হয়েছিল। এতে চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে সাত হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে দুই হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩২ জন, মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এসব প্রার্থী বা তাদের পক্ষে যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সেই রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ছয় ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)