সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের কালভার্ট যেন এক-একটি মৃত্যু ফাঁদ!
সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা থেকে মেডিকেল কলেজ মোড় সংলগ্ন বাইপাস সড়কের অধিকাংশ কালভার্টগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এই বাইপাস সড়কের অধিকাংশ কালভার্ট ও রাস্তা অসমতল, উচু-নিচু হওয়ায় নিয়মিত দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে সড়কে চলাচলরত ট্রাক, ইঞ্জিন ভ্যান ও মোটর বাইক।
উল্লেখ্য যে, ১৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার এই সড়কটির সংযোগ সাতক্ষীরা খুলনা সড়কের বিনেরপোতা থেকে এসে মিশেছে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের বুকের মধ্যে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে।
সাতক্ষীরা শহরের যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি উঠতে থাকে ৯০-এর দশকের প্রথম দিকে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এবং বিভিন্ন সময়ে সাতক্ষীরার উন্নয়নে গঠিত বিভিন্ন নামের সংগঠন এই দাবি জানাতে থাকে। ১৯৯৬ সালে ভোমরা স্থলবন্দর চালু হওয়ার পর বাইপাস নির্মাণের এই দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৩ জুলাই শ্যামনগরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়ক নির্মাণের ঘোষণা দেন। এর কিছু দিন পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকে ভোমরা স্থলবন্দর সড়ক হতে বিনেরপোতা পর্যন্ত ২২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বাইপাস সড়কের জন্য ১১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি সংশোধন করা হয় এবং ১৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকে লাবসা পলিটেনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সড়ক হয়ে বিনেরপোতা বিসিক শিল্প নগরী পর্যন্ত ১২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এই বাইপাস সড়কে মোট ৩৬ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)