শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সুদের টাকা দিতে গিয়ে বাধ্য হয়ে শিশু সন্তান বিক্রি!

নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের টাকা পরিশোধের চাপে বাধ্য হয়ে ২২ দিন বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন ভ্যানচালক বাবা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রির ঘটনা ঘটে।

সোমবার এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হতভাগা শিশু চাঁদনী খাতুন উপজেলার কয়েন গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক রেজাউল করিমের মেয়ে।

এ ঘটনায় শিশুটির পিতা কয়েন গ্রামের জনাব আলীর ছেলে রেজাউল করিম, সুদি কারবারি একই গ্রামের দুর্লভ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সামাদ ও সানোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে রেজাউল তার প্রতিবেশী সুদি কারবারি কালাম হোসেন এবং আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে কিছু সুদ পরিশোধ করলেও চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে তার ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজারে দাঁড়ায়। এসব টাকা পরিশোধের জন্য মহাজনরা উপর্যুপরি চাপ দিয়ে আসছিলো।

এমনকি তার আয়ের একমাত্র উৎস রিকশাভ্যানটিও কয়েক দিন আগে কালাম হোসেন জোর করে নিয়ে নেয়। তারপরও টাকা পরিশোধের জন্য মহাজনরা চাপ দিলে এক পর্যায়ে রেজাউল তার ২২ দিন বয়সের শিশুকন্যাকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু স্ত্রী ফুলজান বেগম তাতে বাধা দেয়ায় রেজাউল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘরের বেড়া কুপিয়ে কাটার পাশাপাশি নিজের পায়েও কোপ দেন।

এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে শেষ করে দেয়ার হুমকি দেন। এতে বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী শিশুটিকে দিয়ে দিলে সুদি মহাজন আব্দুস সামাদের আত্মীয় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সরাইকান্দি কারিগরপাড়ার মৃত মোভাক্ষর হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামের কাছে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

পরে আব্দুস সামাদসহ অন্যান্য সুদি কারবারিরা তাদের পাওনা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়াসহ অবশিষ্ট টাকায় রেজাউলের জন্য একটি ভ্যান কিনে দেন। সোমবার এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী জানান, সুদের টাকার জন্য কয়েকদিন যাবতই মহাজনরা রেজাউলের বাড়িতে এসে হৈচৈ করছিলো। তাই শিশু সন্তানকে বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছে বলে শুনেছি।

কয়েন বাজারের রিকশাভ্যান বিক্রেতা আফতাব উদ্দিন বলেন, সোমবার রেজাউলকে সঙ্গে করে আব্দুস সামাদ আমার কাছে এসে একটি ভ্যান কেনার জন্য ২৮ হাজার টাকা দিয়েছেন। রেজাউলের মেয়েকে বিক্রির টাকা থেকে এ টাকা দিয়েছে বলে শুনেছি।

এ ব্যাপারে রেজাউল করিমের কান্নারত স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে রেজাউল করিম তার শিশু সন্তানকে একজনকে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন।

নগর ইউপি চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে মিডিয়াকে জানানো হবে।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গাবিস্তারিত পড়ুন

সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা: গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতার সুপারিশ

গত জানুয়ারি থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সেবিস্তারিত পড়ুন

ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে: ফয়েজ আহমদ

নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েও মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম কমাচ্ছে না- এমন অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন

  • কবে থেকে টানা বৃষ্টি, জানালো আবহাওয়া অফিস
  • বিডিআর বিদ্রোহ: কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২৭ জন
  • কলারোয়ার ইউএনও’র সাথে ইউএনডিপি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাত
  • চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘জোবাইদা রহমানকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেয়া হয়েছিল’ : খোকন
  • সম্পদের তথ্য গোপন মামলায় জোবাইদা রহমানের জামিন
  • ফেসবুক-ইউটিউবসহ আ. লীগের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি
  • শ্যামনগরে বিএসএফের পুশইন করা ৩ ভারতীয় কারাগারে, ৭৫ জনকে পরিবারে হস্তান্তর
  • বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • সারা দেশে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কী বলা আছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে?
  • সীমান্ত অপরাধরোধে সাতক্ষীরায় বিজিবির সচেতনতা মূলক সভা