বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

হুয়াওয়ের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়, যার প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার। এই উদ্যোগে হুয়াওয়ের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ইউনেস্কো। প্রতিযোগিতাটির লক্ষ্য স্থানীয় আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিভা বিকাশ।

এই প্রতিযোগিতায় ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৮ জনকে বাছাই করা হয়। এই পর্যায়ে একক ও দলীয় – দুই রকম প্রতিযোগিতা ছিল। আইসিটি-কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নতুন সমাধান সম্ভব এবং এর ব্যবসায়িক সফলতার সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে দলভিত্তিক আইডিয়াগুলোকে নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ী দলগুলিকে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সমস্যার যুক্তিসঙ্গত মূল্যায়ন, ব্যবসা পরিকল্পনার অভিনবত্ব, বিজনেস কেস ও অ্যাসাইনমেন্ট স্কোর। প্রতিযোগিতা চলাকালে একাধিক ইন্টারভিউ, পরীক্ষা এবং মূল্যায়নের ভিত্তিতে আলাদাভাবে বিজয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।

শীর্ষ আইডিয়া হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘ধারা’। কীভাবে সৌর শক্তি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করেছে ‘ধারা’। প্রথম রানার আপ হিসেবে বিজয়ী হয়েছে ‘টেরা বিন’, যাদের বিজনেস আইডিয়া ছিল সোলার কম্পোষ্টার ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা যায়। দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হয় ‘সোলনেট’। এই দলটি ক্লাউড প্রযুক্তি ও অ্যাপের ব্যবহার করে কীভাবে সহজে ও কম খরচে সোলার প্ল্যান্ট তৈরি ও ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছে। চ্যাম্পিয়ন, ১ম ও ২য় রানার আপ দল যথাক্রমে তিন লাখ টাকা, দুই লাখ টাকা এবং এক লাখ টাকা মূল্যের প্রাইজমানি পেয়েছে। এই অর্থ তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া চারজন প্রতিযোগী তাঁদের বিশেষ পারফরমেন্সের কারণে ব্যক্তিগতভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ছাত্রী কায়সারী ফেরদৌস, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গ্রাজুয়েট মাহমুদা নাঈম, এসবিআইটি লিমিটেডের ডিজাইন ভেরিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার সুমাইয়া তারিক লাবিবা এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ইইই বিভাগের ছাত্রী সাফরিনা কবির। এই বিজয়ীরা চীনে সফর করে দেশটির স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

৪ জুন রাতে অনুষ্ঠিত গালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব, এমপি, এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ, আইইউটি-এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি, বলেন, “আমি ‘উইমেন ইন টেক’-এর মূল প্রতিপাদ্য “টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার”দেখে সত্যিই আনন্দিত। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী নারীরা যে কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি হুয়াওয়েকে এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানাই।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত জনাব ইয়াও ওয়েন বলেন, “ডিজিটাল ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের উন্নয়ন এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে নারীদের অবদান কতোটা সম্ভাবনাময় হতে পারে।”

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৬ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে নারীর অংশগ্রহণ ২৫%-এ উন্নীত করার উপর জোর দিয়েছেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ৫০% নারী পেশাজীবীর অংশগ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বাংলাদেশে নারীদের প্রতিভা ও দক্ষতা বিকাশ, ইন্টার্নশিপ ও চাকরির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিভা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীরা যাতে পেশাক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যায়, সে বিষয়টিকে আমরা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতায় নারী শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের জ্ঞান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়িক এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমরা নারীদের আইসিটি মেধার বিকাশে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।”

২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক’ প্রোগ্রামটি চালু করে। এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হুয়াওয়ে তরুণদের সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে এবং দেশকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে চালিত করতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ও ‘হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন’-এর মত নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আ.লীগ কখনই শোধরাবে না, সুযোগ পেলে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে’

আওয়ামী লীগ আবারও পুরো জাতির সঙ্গে মশকরা করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিতবিস্তারিত পড়ুন

খালেদা জিয়া হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি? পিনাকীর পোস্টে আলোড়ন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর রাষ্ট্রপতিবিস্তারিত পড়ুন

অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর উপায় খুঁজতে মেটাকে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং যোগাযোগবিস্তারিত পড়ুন

  • বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পাইলটের করা ‘মে ডে কল’ আসলে কী
  • সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন প্রেস সচিব
  • এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে ব্যবস্থা: উপ-প্রেস সচিব
  • ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে, ঘটনাটি চাঁদপুরের শাহরাস্তি : উপদেষ্টা আসিফ
  • মে মাসে ছড়ানো ৩৫১ ভুল তথ্য শনাক্ত
  • গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান
  • একজনের নামে থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১০টি সিম
  • তরুণদের প্রযুক্তিতে আগ্রহী হওয়ার আহবান ডা. জোবাইদার
  • কক্সবাজারে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার : রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন
  • ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব যেভাবে ছড়িয়েছে : বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান
  • ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
  • স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী