রবিবার, মে ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

১ টাকায় ইজারা নেওয়া গণভবনের ইতিহাস, কে কখন থাকতেন সেখানে?

গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর’- এ রূপান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণভবন ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। তবে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হলে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

পরবর্তী সরকারপ্রধান যিনি হবেন, তার বাসভবন কোথায় হবে জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে। এখন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যমুনায় থাকবেন।

গণভবন ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন, যা ঢাকার শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদের উত্তর কোণে অবস্থিত।এর আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী এ বাসভবনে থাকেননি।

এটি মিরপুর সড়কের পশ্চিম পাশে ও লেকসড়কের ক্রসিং-এ অবস্থিত এবং জাতীয় সংসদ ভবন থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি ঢাকার সবচেয়ে নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদের দূরত্ব সামান্য।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিন্টো রোডে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবনে অফিস করতেন। প্রেসিডেন্ট ভবন তখন গণভবন নামে পরিচিত ছিল। প্রেসিডেন্ট ভবন এখন সুগন্ধা ভবন নামে পরিচিত যা ফরেন সার্ভিস একাডেমী অফিস। প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু অনেক কষ্ট করে অফিস করতেন। সেখানে তার সকল স্টাফদের জন্য স্থান সংকুলান হত না। সেই অফিস ভবন ছোট হবার কারণেই তিনি ১৯৭৩ সালে শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের পাশে তাঁর বাসভবন ও সচিবালয় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭৪ সালে গণভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু সেখানে অফিস শুরু করেন। তবে তিনি বাস করতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সামরিক শাসন জারি হলে গণভবনকে সামরিক আদালতে পরিণত করা হয়।পরবর্তীতে এটি একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানের দপ্তর হিসেবেও বরাদ্দ ছিল। ১৯৮৫ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সংস্কার শেষে ১৯৮৬ সালে এটিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পরিণত করা হয় যার নাম রাখা হয়েছিল করতোয়া ভবন। ১৯৮৮ সালে ভবনটি দ্বিতীয় দফা সংস্কার করার জন্য কনকর্ড গ্রুপকে নিযুক্ত করা হয় এবং সংস্কার শেষ হলে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিণত হয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় বৈঠকের মাধ্যমে মাত্র ১ টাকায় ভবনটির ইজারা নিয়ে নেন। সিদ্ধান্তটি গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলে শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করে গণভবন ত্যাগ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান সেই ইজারা বাতিল ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা আমলে ভবনটির নাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রাখা হয়, যদিও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভবনটি ব্যবহার করতেন না।

শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর সরাসরি উত্তরাধিকারীদের জন্য জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ সংসদে পাশ হয়। আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে গণভবনটি প্রদান করা হয়। তখন ভবনটিকে আবার সংস্কার করা হয়। সংস্কার শেষে ৫ মার্চ ২০১০ সাল থেকে এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন হিসেবে থাকতে শুরু করেন।

২৮ জুলাই ২০২৪ সালে সাবেক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে ১৯ জুলাই রাতে ২০২২ সালের শ্রীলঙ্কা বিক্ষোভ আন্দোলনের আদলে গণভবন আক্রমণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে ছাত্র-জনতা গণভবনে প্রবেশ করে এর ক্ষতিসাধন করে। ৬ আগস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবনটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়। পদত্যাগ-পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তথ্যসূত্র-উইকিপিডিয়া

একই রকম সংবাদ সমূহ

নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ICT কোচিং সেন্টার শনিবার রাতবিস্তারিত পড়ুন

ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত মহাসড়ক হবে ছয় লেনের : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এমবিস্তারিত পড়ুন

আইসিটি অ্যাক্টে আ’লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে : প্রেস সচিব

আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরিবিস্তারিত পড়ুন

  • স্যুট পরে এলে ছাইড়া দিও না, খেয়াল রাইখো : বিমানবন্দর পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আটকের পরেও যে ফোনে আবদুল হামিদকে ছেড়ে দেয়া হয়..
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • ‘আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, এ যেন আরেক ‘জুলাই’
  • আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে মুখ খুললো সরকার
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন মঈন খান
  • নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
  • দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচারপতি নজরুলকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
  • সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরো বাড়লো
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ : তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: শাস্তি পেলেন ৩ কর্মকর্তা