২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে মুক্ত হবে: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী


দেশে বাল্যবিয়ে রোধে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও নারী উন্নয়নে বিভিন্ন আইন, বিধি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলো বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার ইউএস এইড, কেয়ার বাংলাদেশ ও সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচি আয়োজিত ‘বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তৃণমূলের কৌশল’ এর জাতীয় পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রান্তিক ও অসহায় কিশোর-কিশোরীদের জেন্ডার বেইজড্ ভায়োলেন্স প্রতিরোধ করার জন্য ৮ হাজার কিশোর-কিশোরি ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ১ কোটি মহিলাকে তথ্য সেবা প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার সময় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ এর মাধ্যমে যৌন হয়রানী প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ৯৮৪১২৫ টি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে নারী ও কন্যাশিশুরা স্বাস্থ্যগত সংকটের পাশাপাশি বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে যাচ্ছে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতা ও বাল্য বিয়ে বেড়েছে বলে জাতিসংঘের পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্রামীণ পরিবারগুলোতে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। এই অবরুদ্ধ অবস্থায় অনেক অভিভাবক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাল্য বিয়ে যে বেড়েছে তা নিশ্চিত না তবে করোনা বা যেকোন দুর্যোগে এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্যানেল আলোচকদের মধ্যে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী ও মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রামেশ সিং।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএস এআইডির পরিচালক এলেন ডি গুজম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুননেসা মাহতাব।
তথ্যবিবরণী- পিআইডি

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
