বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর বানাচ্ছে সৌদি আরব
নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙছে সৌদি আরব। দামামে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়েও বড় আরেকটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন সৌদি প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
রাজধানী রিয়াদের ২২ বর্গমাইলজুড়ে নির্মিত হবে কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে ছয়টি সমান্তরাল রানওয়ে থাকবে।
সৌদি আরবের তেলবহির্ভূত মোট দেশজ উৎপাদনে বার্ষিক ৭.১৮ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে এই প্রকল্প বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থাপত্যশৈলী জগতের খ্যাতিসম্পন্ন ‘ফস্টার + পার্টনারস’ খ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য, প্রকৌশল দ্বারা নকশা করা হয়েছে। ‘স্টুডিওর ফস্টার + পার্টনার্সের’ প্রধান লুক ফক্স বলেন, ‘বিমানবন্দরটি ঐতিহ্যবাহী টার্মিনালকে একটি একক ‘কনকোর্স লুপ’ হিসাবে পুনরায় কল্পনা করবে, যা পরিবেশিত হবে একাধিক প্রবেশদ্বারে মধ্য দিয়ে।’ ৪.৫ বর্গমাইলের বেশি ছোট আউটলেট, আবাসিক এবং বিনোদনমূলক সুবিধা এবং লজিস্টিক স্পেস থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরটি বছরে ১২০ মিলিয়ন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত হবে।
পরবর্তী দুই দশকে যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ৫০% শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৩.৫ মিলিয়ন টন কার্গো পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
‘ফস্টার + পার্টনারসের’ একজন সিনিয়র অংশীদার সেফ এ বাহা এলদিন একটি বিবৃতিতে বলেন, বিমানবন্দরের লক্ষ্য হলো রিয়াদকে ‘সৃজনশীলতা এবং উদ্বাবনের গ্লোবাল হাব’ হয়ে উঠতে সহায়তা করা।
পর্যটন খাতে ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যাচ্ছে সৌদি আরব। সেসব বৃহৎ প্রকল্পেরই একটি এই বিমানবন্দর।
সিএনএন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)