বাংলাদেশে ঢুকেছে বিজিপি সদস্যসহ আরো ১১৪ জন
মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সদস্যসহ আরো ১১৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য রয়েছে। এনিয়ে বিজিপির সদস্যসহ মোট ২২৯ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন করে যারা প্রবেশ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুজনকে রিসিভ করলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। এরপর বিজিপির সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর আরো ১১৪ জন প্রবেশ করেন।
জানা গেছে, ২২৯ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ১৮৫ জন। বাকি ৪৪ জনের মধ্যে মিয়ানমার সেনা সদস্য দুই জন। বাকিদের মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ছাড়াও অসামরিক সদস্য রয়েছেন।
তাদের মধ্যে তুমব্রু বিওপিতে ৭৬ বিজিপি সদস্যকে, ঘুমধুমে ৩৭ জন বিজিপি সদস্যকে ও বালুখালীতে ৭০ বিজিপি সদস্যকে রাখা হয়েছে। আর টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে ২ জন বিজিপি সদস্যকে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে ২ সেনা সদস্য, সিআইডি ৪ জন, পুলিশ ৫ জন, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন ও অসামরিক ৪ জন সদস্য কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে রয়েছেন।
এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)